বিমানবন্দরের হজ ক্যাম্পে আসা মানুষগুলোর হৃদয়জুড়ে মক্কা-মদিনা আর মিনা-আরাফা। সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে লাভের হাহাকার তাদের হৃদয়ে জাগায় স্পন্দন। এসকল হজ যাত্রীদের মন আলোড়িত হয় আরাফাতের ময়দানে সমস্বরে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনি বলার অপেক্ষায়।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত এখানের অনেক যাত্রীদের কাবা প্রান্তরে প্রভুর নৈকট্য লাভের যাত্রাকে দীর্ঘদিনের আরাধনাই বলা যায়।
হজ যাত্রার জন্য সিরাজগঞ্জের হাসান আলীর জমি বিক্রি, ঝিনাইদহের ব্যবসায়ী মোস্তাক আলীর পাঁচ বছর ধরে টাকা জমানো কিংবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মজিবুর রহমানের পেনশনের টাকায় দীর্ঘ আরাধনার পূর্ণতা পায়। তাইতো হজব্রত পালনে বছরের প্রথম ফ্লাইটে মক্কার পথে তারা।
আরো পড়ুন:
হজযাত্রীদের একজন বলেন, ‘জমি বিক্রি করে পাসপোর্ট করে এখন হজে যাচ্ছি।’
আরেকজন বলেন, ‘২০২৪ সালে আমি পেনশনের টাকা তুলে হজে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এখন হজে যাচ্ছি।’
পরম আরাধ্য তীর্থযাত্রার আনন্দ তাদের নিঃসন্দেহে আছে। তবে বিদায়বেলায় স্বজনদের আলিঙ্গন, ডুকরে কেঁদে ওঠা চোখ জানান দেয় মনের গহীনে স্বজনদের রেখে দূর ভূমে যাওয়ার বেদনাও সঙ্গী হয়ে আছে তাদের। এসবকিছুকেই তারা দেখেছেন প্রভুর সন্তুষ্টি লাভের ত্যাগ হিসেবে।
আরো পড়ুন:
হজযাত্রীদের আরেকজন বলেন, ‘আল্লাহর পথে যেহেতু যাচ্ছি তার কাছে চাইতে হবে যেন সুস্থভাবে হজ করতে পারি।’
বিগত বছরগুলোতে যাত্রাপথে ভোগান্তি, যাত্রীদের নানাবিধ অভিযোগ শোনা গেলেও এবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের পূর্বমুহূর্তে হজ যাত্রার আয়োজন নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা গেল হজ যাত্রীদের।
এবার হজ ব্যবস্থাপনাকে নির্বিঘ্ন করতে সরকারি পর্যায়ে ১১২ জন এবং বেসরকারি পর্যায়ে ১ হাজার ৭৪৩ জন গাইড দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি ৭০ জন মোয়াল্লেম হজযাত্রীদের সার্বিক সহায়তা করবেন।