সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ইমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে গুরুতর আহতদের অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রবেশ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অখণ্ড ভারতের কল্পিত গ্রাফিতি সংযোজনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিসহ ৫ দফা দাবিতে ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ নামের একটি সংগঠন আজ সকালে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
একইদিনে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একটি দল পাঠ্যবইয়ে গ্রাফিতিটি পুনর্বহালের দাবিতে এনসিটিবির সামনে কর্মসূচি পালন করতে যায়। পরে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে এতে গুরুতর আহত হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র রুপাইয়া শ্রেষ্ঠাসহ আরো অন্তত ৭ জন।
এ ঘটনা নিয়ে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি দাবি করেছে, তাদের ওপর আগে হামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা জানিয়েছে, কর্মসূচি চলাকালে পরিকল্পিতভাবেই তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
মারামারির বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনটির মুখপাত্র শামান্তা শারমিন বলেন, ‘এনসিটিবির সামনে হওয়া আদিবাসীদের ওপর হামলার ব্যাপারটি পূর্বপরিকল্পিত এবং কিছু মহল আবার ফ্যাসিবাদী আচরণ করে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’
এ ঘটনায় মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির বলেন, ‘উগ্রবাদীদের হাতে দেশকে জিম্মি না করার দায়িত্ব সরকারের। বিচারের পাশাপাশি আহতদের দ্রুত সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।’