কৃষি
দেশে এখন
0

নওগাঁয় ফল চাষে নতুন দিগন্ত

খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত উত্তরের জেলা নওগাঁ পরিচিত বিভিন্ন শস্য ও সবজি চাষের জন্য। কিন্তু বর্তমানে জেলায় চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন ফলের। নতুন উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি বাড়ছে কর্মসংস্থান। কৃষি অফিসের পরামর্শে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন ফলের চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক ও উদ্যোক্তারা।

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার গন্ধবপুর গ্রামের প্রবাসী মামুনুর রশিদ। দেশেই নতুন কিছু শুরুর আগ্রহেই মাল্টা চাষের উদ্যোগ নেন। গত ৪ বছর আগে বাড়ির পাশে ৭ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে বারি-১, ২ এবং ভিয়েতনাম জাতের মাল্টার বাগান গড়ে তোলেন।

চারা রোপণ থেকে শুরু করে পরিচর্যা, সার ও কীটনাশক সহ সব মিলিয়ে গাছে ফল আসা পর্যন্ত দুই বছরে খরচ হয় প্রায় ৭ লাখ টাকা। গাছ বড় হওয়ায় তৃতীয় বছর থেকে পুরোদমে ফল সংগ্রহ করেন অন্তত ৭ লাখ টাকার। এছাড়া চলতি বছরে ফল সংগ্রহ করেছেন অন্তত সাড়ে ৩ লাখ টাকার।

প্রবাসী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘বর্তমানে আমি সাড়ে তিন লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছি।’

বাগানে কর্মসংস্থান হয়েছে ৬ জন শ্রমিকের যারা দৈনিক মজুরি পায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। বাগান থেকে প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায় এবং কমলা ৮০-৯০ টাকায়।

শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘কৃষি কাজ বাদ দিয়ে গত চার বছরে আমরা মাল্টা বাগানে ৪ বছর ধরে কাজ করছি। প্রতিদিন আমরা মজুরি পাই ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।’

নওগাঁর আরেক তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুর রউফ তিনি এক বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করছেন বারোমাসি তরমুজ। আড়াই মাসের এ ফসলে খরচ পড়েছে অন্তত ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকা। যেখানে সমস্ত খরচ বাদে তার লাভ থাকবে অন্তত লক্ষাধিক টাকা।

ফল চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। নওগাঁয় প্রতিবছরই কৃষকেরা গড়ে তুলছেন নতুন ফলের বাগান। কিছুটা কমছে বিদেশি ফলের আমদানি নির্ভরতা। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও নির্দেশনা দেয়া হয় ।

নওগাঁ বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাবাব ফারহান বলেন, ‘অসময়ে তরমুজ চাষ করা সুবিধা হচ্ছে সিজনাল তরমুজের সময় যে দামে বিক্রি করে তার থেকে বেশি দামে বিক্রি করা যায়। এতে তারা লাভবান হয়ে থাকে।’

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ফলের আবাদ হয়েছে মোট ৩৪৮ হেক্টর জমিতে। যা থেকে বছরে অন্তত ২১ কোটি ৬৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ফল উৎপাদন হয়।

ইএ