নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার দেউলিয়া গ্রামের কৃষক ইদ্রিস আলী। গত বছর ৫ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের আলু রোপণ করে ফলন পেয়েছিলেন ৬৩০ মন। রোপণ থেকে শুরু করে হিমাগারে রাখতে খরচ হয়েছিল মোট ২ লাখ টাকা।
লাভের আশায় এ বছরও আলু রোপণ করেছেন ৭ বিঘা জমিতে। তবে আলু সংরক্ষণে জেলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় রাখতে হয় পাশের জেলা বগুড়ার হিমাগারে। ফলে পরিবহন ও শ্রমিকের জন্য গুনতে হয় বাড়তি টাকা।
হিমাগারে আলু সংরক্ষণের জন্য কৃষকদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রশিদ নিতে হয়। নির্ধারিত সময়ে আলু না রাখতে পারলে আর সম্ভব হয় না হিমাগারে রাখা। পরতে হয় লোকসানে। এতে কম দামে আলু কেনায় লাভবান হন মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা।
কৃষকদের অভিযোগ, আগাম জাতের বীজ আলু পাশের জেলা থেকে তাদের বেশি দামে কিনতে হয়। জেলায় যেসব হিমাগার রয়েছে সেখানে শীতলীকরণ গ্যাস কম থাকায় পচে নষ্ট হয়ে যায় আলু।
জেলায় রয়েছে ৭টি হিমাগার। যার ধারণক্ষমতা ৪৬ হাজার ৫৩০ টন। এ বছর কৃষকদের আলু উৎপাদনের আশা ৪ লাখ ৮৮ হাজার ১৯০ টন। এরমধ্যে আলুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টন।
উদ্বৃত্ত আলু স্থানীয় হিমাগারে রাখার পর অতিরিক্ত আলু রাখতে হয় পাশের জেলায় হিমাগারে। জেলায় এ বছর আলু চাষ হয়েছে ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে।