দেশে এখন
0

দখল-দূষণে মৃতপ্রায় নড়াইলের চিত্রা নদী

দখল-দূষণে মৃতপ্রায় নড়াইলের চিত্রা নদী। প্রশাসন বলছে, নতুন করে দখলদারদের তালিকা করা হচ্ছে। দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এদিকে দীর্ঘদিনেও নবগঙ্গা নদীর খনন কাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে নদী পাড়ের মানুষের। দ্রুত নদী খননের কাজ শেষ করার দাবি স্থানীয়দের।

নড়াইল শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে চিত্রা নদী। অবৈধভাবে পাড় দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ঘরবাড়ি। তীরে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। একসময়ের গতিময় প্রবাহ এখন মৃতপ্রায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, খাস জমি দেখিয়ে এসব জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরি করেছে এক শ্রেণির সরকারি কর্মচারীরা। এতে বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীতে। এছাড়া নদী দখলে যোগসাজশ রয়েছে শহরের প্রভাবশালী মহলের। এমনকি প্রশাসনের জরিপে ৬৩ জন অবৈধ দখলদারের নাম উঠে আসলেও তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।

জেলেদের একজন বলেন, ‘আগে নদীতে জাল ফেললে ১০ থেকে ১৫ কেজি মাছ পাওয়া যেত। এখন পাওয়া যায় না তেমন।’

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘ড্রেনের পানি সব নদীতে দিয়ে দেয়া যা নদীর পানি দূষণ করছে।’

অন্যদিকে, বালুচর জমে ধুকছে কালিয়ার গাজির হাটের নবগঙ্গা নদী। প্রায় ৪ বছর আগে ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর ১৩ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু হলেও প্রকল্পটি পুরোপুরি দেখেনি আলোর মুখ। এ অবস্থায় শিগগিরই নদী খনন কাজ শেষ করার দাবি স্থানীয়দের।

কৃষকদের একজন বলেন, ‘নদী খনন কাজ শেষ করলে এর আশেপাশের কৃষকরা উপকৃত হবে আর এভাবে যদি ফেলে রাখে তাহলে কিছুই হবে না।’

গেল বছরের ডিসেম্বরে প্রথম দফায় শেষ হয় প্রকল্পের মেয়াদ। পরে দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নবগঙ্গা নদী খনন কাজ শেষ হলে উপকৃত হবে এলাকার হাজারো মানুষ।

নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, ‘নবগঙ্গা নদী খননকাজ শেষ হলে উপকৃত হবে এলাকার মানুষ। পাশাপাশি কৃষি ও নৌপথে প্রভাব পড়বে।’

চিত্রা নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

নড়াইল জেলা প্রশাসক শারমীন আক্তার জাহান বলেন, ‘দূষণ রোধে একটা কমিটি করে দেয়া হয়েছে। ২৫ দিনের মধ্যে তারা কি করবে তা আমাকে প্রতিবেদন আকারে সাবমিট করবে।’

বর্তমানে নদীপথ ব্যবহার করে পণ্য আনা নেয়া করে এ জনপদের ৫ হাজার ব্যবসায়ী। এ অবস্থায় নদী দুটি রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।

ইএ