সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার রাধানগর গ্রামের কৃষক আব্দুল সোবহান। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথেই আলাপ তার সাথে। জানালেন, নির্দিষ্ট সময়ে হাওরের বাঁধ নির্মাণ শেষ হবে- এমন আশা দুরূহ।
স্থানীয় একজন বলেন, 'বাঁধ যেভাবে দিয়েছে, এটা টিকবে না। আরও মজবুত করা লাগতো। যদি হঠাৎ পানি আসে, তাহলে এই বাঁধ থাকবে না।'
নির্ধারিত সময়সীমায় কাজ শেষ হয়েছে ৬০ শতাংশ। তার মধ্যে নির্মাণে রয়েছে ত্রুটির অভিযোগ।
সুনামগঞ্জ হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিজয় সেন রায় বলেন, 'কাজের গুণগত মান অনেক নিম্নে। এবং এ বছর কৃষক হাওরের ফসল ঘরে তুলতে পারবে কি না তা কৃষকদের মনে সংশয় আছে।'
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন বলছে, অর্থ সংকটে কাজের গতি কিছুটা কম।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, 'মাটি সংকটের কারণে অনেক উপজেলায় কাজ ঠিক সময়ে শুরু করতে পারেনি। দেখা গেছে ফেব্রুয়ারি ১০ বা ১৫ তারিখে কাজ শুরু করতে হয়েছে।'
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, 'দ্বিতীয় কিস্তির টাকাটা যারা বাঁধের কাজ পেয়েছে তাদের সময়মতো হস্তান্তর করতে পারিনি। টাকা চলে এসেছে, আমরা দ্রুতই টাকা হস্তান্তর করবো। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে উনারা বলেছেন, তৃতীয় কিস্তির টাকা ছাড় করার উদ্যোগ তারা এখনই গ্রহণ করেছেন।'
সুনামগঞ্জে এবার ১২টি উপজেলার ৫৩টি হাওরে ৬৮৬ প্রকল্পে ৫৯৩ কিলোমিটার বাঁধের কাজ হচ্ছে। যার নির্মাণ ব্যয় ১২৭ কোটি টাকা।