অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে গতকাল (রোববার) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে ওয়াহিদের নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস টিএন্ডডি পিএলসির আওতাধীন মেট্রো ঢাকা বিপণন বিভাগ-২-এর সার্বিক সহযোগিতায় ব্রাহ্মণ কিত্তা ও খাগাইল,কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকার ৩টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
১ম স্পট ব্রাহ্মণ কিত্তা এলাকায় একটি নামবিহীন খানাডুলি কারখানা যার হিটিং চেম্বার -০২টি, লোড -৪৫০ঘনফুট/ঘণ্টা, ২য় স্পট খাগাইল এলাকায় নাম বিহীন খানাডুলি কারখানা যার হিটিং চেম্বার -০৪টি, লোড- ৫৫০ঘনফুট/ঘণ্টা এবং ৩য় স্পট খাগাইল এলাকায় নাম বিহীন কেচি কারখানা যার ভাট্টী-০১টি, লোড -৮০০ ঘনফুট/ঘণ্টা।
উক্ত অভিযানে মোট ৩/৪ ইঞ্চি পাইপ ১৩০ ফুট, বুস্টার /কম্প্রেসার ৫টি, হোস পাইপ –আনুমানিক -২৫০ ফুট, হিটিং চেম্বারের বার্নার ৬ সেট (বার বার্নার ৪০টি) জব্দ করা হয়। এছাড়া -১৮০০ ঘনফুট/ঘণ্টা গ্যাস সাশ্রয় এবং সাশ্রয়কৃত গ্যাসের মূল্য দৈনিক আনুমানিক ১৫ হাজার ৮৫৬ টাকা ।
এছাড়া একই দিন জোবিঅ-আশুলিয়া অধীন সিএনজি গ্রাহক মেসার্স মিজান সিএনজি (৭৩৮/৮৩৮০০০৬১৮) নামক প্রতিষ্ঠানে কম্প্রেসার এবং ক্যাপটিভ পাওয়ার রানের মিটার দুইটিতে মূল সিল ও সিকিউরিটি সিল নকল এবং পুন:স্থাপন পাওয়ায় তাৎক্ষণিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে লোড অনুযায়ী মাসিক ১৫ কোটি টাকার গ্যাস সাশ্রয় হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ১৮১টি শিল্প, ১০০টি বাণিজ্যিক ও ২২ হাজার ৩৭৫টি আবাসিকসহ মোট ২২ হাজার ৬৫৬টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৫১ হাজার ৬০৮টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। উক্ত অভিযানসমূহে ১১২ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।