নিচে কুলিং পাইপ লাইন, ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ- এমন সতর্কবার্তার পরও আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন এভাবেই চলছে পণ্য বোঝাই ভারী ট্রাক। ফলে সড়কের নিচে থাকা কুলিং পাইপ ফেটে জেটির সংলগ্ন ৪০০ মেগাওয়াট ও ২২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার পৃথক দুটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধের শঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘জেটিটা নদীর মাঝ বরাবর নিয়ে গিয়েছে। সেখানে পানির প্রবাহ বাধা পাবে। বাধা পেলে পলি জমে যাবে একসময় আমাদের ইউনিট পানি পাবে না। আর পানি না পেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাবে। এই রাস্তার উপর দিয়ে ভারি যানবাহন যায় তাহলে কুলিং পাইপ ফেটে যাবে।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আশুগঞ্জ নৌবন্দরের দুইটি ঘাট ইজারা নেন আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সিরাজ। সম্প্রতি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন ঘাটে পণ্য উঠানামার জন্য নদীর অংশ ভরাট করে নির্মাণ করেন জেটি। বর্তমানে মেঘনার ভিওসি ঘাট ছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী ঘাটে ধান, চাল ও গম বোঝাই নৌকা ভিড়ছে। মূলত নৌকা থেকে পণ্য নামানোর সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয়েছে জেটি।
ঘাট ইজারাদার শাহজাহান সিরাজ বলেন, ‘আমরা পিডিপির সাথে পরামর্শের সাপেক্ষে এইটা করেছি।’
তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশ থেকে জেটি সরিয়ে নিতে ইজারাদারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার নৌবন্দরের উপ-পরিচালক।
আশুগঞ্জ-ভৈরববাজার নৌবন্দরের উপ-পরিচালক মো. মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা তাদেরকে অপসারণ করার কথা বলেছি যে এখানে ঘাট করা যাবে না।’
আর ঘাটে আসা পণ্য পরিবহনে ইজারাদারকে বিকল্প সড়ক খোঁজার নির্দেশনা দেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, ‘আমি তিনপক্ষকে ডেকেছিলাম। একটা বিকল্প রাস্তা খোঁজা হচ্ছে।’
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট ৬টি ইউনিট। রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বর্তমানে দুইটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।