ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটে নাটোর স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্মে প্রবেশ করে। কিন্তু ট্রেনটি না থেমেই ১২ টা বাজতেই স্টেশন ছেড়ে যায়। অথচ প্লাটফর্মে ৩ মিনিট দাঁড়ানোর কথা। এতে অন্তত ৫০ জন যাত্রী ট্রেনে উঠতে না পারার পাশাপাশি অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নামতেও পারেনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারকে কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
সোহেল রানা নামে এক যাত্রী বলেন, 'সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১ ঘণ্টা লেটে আসে নাটোর স্টেশনে। নাটোর স্টেশনে ১১ টা ৫৯ মিনিটের দিকে ঢুকে ১ মিনিটেরও কম সময় স্লো করে চলে যায়। এতে আমিসহ অনেক যাত্রী উঠতে পারি না। আমার সামনে দুইজন যাত্রী ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নামে, যারা আহত হন। অনেক যাত্রী নামতেই পারে না। আমাদের কথা হচ্ছে, ট্রেনতো স্টেশনে নির্ধারিত সময় থেমে থাকার কথা। কিন্তু না দাঁড়িয়ে কেন চলে গেল। এর দায়টা কার। আমরা স্টেশন মাস্টার কে বললে তিনি কোন জবাব দেন না।
তবে ওই রুটে বিকল্প কোন ট্রেন না থাকায় বেশিরভাগ যাত্রী তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারেনি। বিষয়টি রাতেই কন্ট্রোল রুমকে জানানো হয়েছে বলে জানান স্টেশন মাস্টার শামীম হোসেন।
তিনি বলেন, 'গাড়ি ছেড়ে আসলে আমি লাইন ক্লিয়ার দিয়ে দেই, গার্ডের দেখার বিষয় প্যাসেঞ্জার ক্লিয়ারেন্সের। সেটা গার্ড দেখেনি।'