নিহত কাইয়ূম কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার আব্দুল করিমের ছেলে এবং তারেক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গুরুহিত গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই যুবক। তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে স্থানীয় মোগড়া রেলওয়ে ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে ছাদে থাকা চারজন যুবক উঠে দাঁড়ায়।
এ সময় তারা মোবাইল দিয়ে ভিডিও করার একপর্যায়ে রেললাইনের ওপর দিয়ে যাওয়া ডিশলাইনের তার পেঁচিয়ে তারা ট্রেন থেকে নিচে ছিটকে পড়ে।
এতে ঘটনাস্থলেই কাইয়ূম মারা যান। আহত বাকি তিনজনের মধ্যে তারেক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। বাকি দুইজন চিকিৎসাধীন আছেন।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার জানান, ওই চার যুবক কোন স্টেশন থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিল- তা জানা যায়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন তারা ছাদে দাঁড়িয়ে ভিডিও করছিল। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।