পৌষের কনকনে শীতে প্রকৃতির মুখ ভার। সকাল গড়িয়ে মধ্য দুপুরে সূর্য কিছুটা উঁকি দিচ্ছিলো। সেই মিষ্টি রোদে ফেনী শহরতলী শর্শদি ইউনিয়নের মধ্য জাহানপুরের জাম্বারা দিঘীতে চারপাশ মুখর।
দিঘীর এক পাশে গ্রামের বাসিন্দারা গোসলসহ দৈনন্দিন সব কাজ করলেও অন্য প্রান্তে পাখিরা নিজেদের রাজ্য গড়ে তুলেছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছেন তবে এতে দূর দেশের অতিথিদের কোনো হেলদোল নেই।
স্থানীয়রাও পাখিদের বিষয়ে বেশ কড়া, কোনোভাবেই পাখিদের বিরক্ত করা যাবে না। গ্রামের সবাই মিলে এই দিঘীকে পাখিদের জন্য অভয়াশ্রম করে তুলেছেন।
দিনভর জলকেলি, খুনসুটি সে সঙ্গে কিচির-মিচির শব্দ, কখনো ঝাঁক বেঁধে নান্দনিক কসরতে ডানা মেলে নীল আকাশে উড়াউড়ি। গ্রামবাসী বিরক্ত করাতো দূরের কথা অতিথিদের রেখেছেন পরম যত্নে। রক্ষা করছেন শিকার থেকে।
পানকৌড়ি, বালি হাঁস, রাঙ্গা ময়ূরী, ছোট স্বরালী পরিযায়ী পাখির এ বিচরণ ক্ষেত্রটি ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকেই শুরু হয়। শীতপ্রধান এলাকা থেকে আসা এসব অতিথি পাখি অনুকূল পরিবেশ আর প্রয়োজনীয় খাবার নিশ্চিত হওয়ায় আস্তানা গড়ে দিঘীতে।
গত বছরের চেয়ে এবার বিপুল পাখির আগমনে তৈরি হয়েছে অন্য এক পরিবেশ। পাখিদের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী প্রয়াস বন্য-প্রাণী রেসকিউ টিম, সার্বক্ষণিক নজরদারির কথা জানালেন বন বিভাগও।
পাখি প্রেমীরা বলছেন, এ দিঘীতে প্রায় ১০ প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে এবার। ডিসেম্বরের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দিঘীটিতে অবস্থান করে এই পাখি।