দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বেহাল বরিশালের কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল। বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত। খানাখন্দে হাঁটাও দায়। খসে খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তরা।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়েছে। বিশেষ করে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে আগের চেয়ে প্রতিদিন শতাধিক বাস যাতায়াত করে। কিন্তু সে তুলনায় বাড়েনি বাস টার্মিনালের পরিধি।
নিয়ম বহির্ভূতভাবে মূল সড়কে যাত্রী ওঠানামা করানো হচ্ছে। এতে দুর্ভোগ-যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। এছাড়া বেশিরভাগ সময়ই সড়কের ওপরেই রাখা হচ্ছে যানবাহন। দ্রুতই টার্মিনালটির আধুনিকায়ন দরকার বলে মনে করেন যাত্রীরা। ট্রাফিক বিভাগ বলছে, যানজট নিরসনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়াসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বরিশালের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. রাসেদুল ইসলাম বলেন, ‘বাসের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাস আসার কারণে প্রায় সময়েই এক ধরনের যানজট দেখা যায় এবং জনদুর্ভোগ তৈরি হয়। নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সরিয়ে যে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল রয়েছে এটি স্থানান্তর করা হয়, তাহলে জনদুর্ভোগ কমবে মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।’
নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, বাস টার্মিনালের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সাময়িকভাবে সমস্যা নিরসনে ট্রাক টার্মিনালে বাস রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
পদ্মা সেতু চালুর আগে বরিশালের নথুল্লাবাদে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে অভ্যন্তরীণ রুটের বাস ছিল মাত্র ৮০- ৯০টি । বর্তমানে সেই সংখ্যা প্রায় ২০০টি।
এছাড়া দূরপাল্লার রুটে বাসের চলাচল বেড়েছে আগের তুলনায় কয়েক গুণ। টার্মিনালটির আধুনিকায়ন করা হলে যাত্রী ভোগান্তি কমার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী বলেন, ‘স্পেশাল কোনো বরাদ্দ আসলে আমরা এ কাজটা ধরতে পারবো। ওই জায়গাটা এখন ডোবার মত আছে, মাটি ভরাট করতে হবে।’