কুয়াশা ঢাকা ভোরের শহর। পৌষের আগেই পৌষালি শীত। গাছের পাতায় শিশির ঝরার টুপটাপ শব্দ, পথের ঘাসের ডগায় শিশিরের মুকুট, রাজশাহী নগরজুড়ে বদলে যাওয়া প্রকৃতিতে এখন শীতের দাপট।
তীব্র ঠাণ্ডার কারণে সকাল বেলা রাজশাহীর নগরীতে তেমন একটা দেখা মেলেনা নগরবাসীর।
বেলা গড়ালেও দেখা নেই সূর্যের। কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া কাবু করেছে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষদের। কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরাও। আবহাওয়া অফিস বলছে এমন তীব্রতা থাকতে পারে আরো একদিন।
রাজশাহীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সকালের শুরুতে আবহাওয়া অফিসের রাজশাহীর তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১৪ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। এখন ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই কুয়াশা দূরীভূত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।’
উত্তরের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জেও বেড়েছে শীত ও ঘন কুয়াশার তীব্রতা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কিছুটা কমলেও হেড লাইট জ্বালিয়েই চলাচল করছে অধিকাংশ যানবাহন। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে অতিরিক্ত সময় লাগছে মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বেড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায়। মঙ্গলবার সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে, হিমশীতল বাতাস এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ।
তাপমাত্রা আরও কমার পাশাপাশি সামনে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।