দেশে এখন
0

আগরতলায় হাইকমিশনে হামলা: ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ঢাকার

কলকাতায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভের মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে সোমবার আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালানো হয়েছে। এসময় জাতীয় পতাকাসহ হাইকমিশনের আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয়া হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঢাকা।

ঠিক এভাবেই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানো হয়েছে ভারতের আগরতলায়। ভাঙচুর চালানো হয়েছে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন অফিসেও।

সোমবার দুপুরে বিক্ষোভের ডাক দিয়ে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির সদস্যরা এই আক্রমণ চালান। শুরু থেকে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের তেমন ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। পরে পুলিশ বাহিনী ও টিএসআর সদস্যরা যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ততক্ষণে হাইকমিশনের ভেতরে আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।

এদিকে গেলো বৃহস্পতিবারও কলকাতায় উপহাইকমিশনের সামনে সহিংস মিছিল করে বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ নামের একটি সংগঠন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে উপ হাইকমিশন ঘিরে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে এমন দুটি ঘটনায় ক্ষুব্ধ ঢাকা। এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতেই এমন ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। সহকারী হাই কমিশনের সকল সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে বাংলাদেশ এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

তবে আগরতলায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। কোনো অবস্থাতেই কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার সম্পত্তি হামলার লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।

এতে আরও বলা হয়, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের উপ বা সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।

৫ আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল প্রমাণের জন্য ভারতের একাধিক গণমাধ্যমের অপচেষ্টা ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিকে উদ্দেশ্যমূলক বলছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এএইচ