পোস্টে তিনি লিখেন, 'দীর্ঘদিন ধরে ধারণা করা হচ্ছিল, ভারতের বিতর্ক অনুষ্ঠানের আক্রমণাত্মক সঞ্চালকদের মুখোমুখি হতে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা সমস্যায় পড়বেন। কিন্তু সেই আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করে সাংবাদিকরা দৃঢ়ভাবে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিচ্ছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন, সময় এসেছে ভারতের মিডিয়া থেকে আসা বিশাল আকারের মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর।'
তিনি আরও লিখেন, 'ভারতের কিছু মিডিয়া ও তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি সাংবাদিকরা সাহসী ভূমিকা পালন করছেন। বিশেষ করে ভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর বিতর্ক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তারা বাংলাদেশের পক্ষে সঠিক তথ্য তুলে ধরছেন এবং নিজের দেশকে গর্বের সঙ্গে উপস্থাপন করছেন।'
শফিকুল আলম বলেন, 'আমরা ভুল করব, হয়তো কখনও ভয় পাব। কারও কাছে হয়তো ভারতীয়দের স্মার্ট বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আমি নিশ্চিত, সত্যের শক্তিতে বলীয়ান হলে কোনো মিথ্যাচার আমাদের হারাতে পারবে না। আমি আরও সাংবাদিক, বিশেষ করে আমাদের নারী রিপোর্টার ও সম্পাদকদের উৎসাহিত করব ভারতীয় মিডিয়ার সামনে আমাদের গল্প তুলে ধরতে।'
তিনি বলেন, 'আমাদের নিজেদের গল্প আমাদেরকেই বলতে হবে। নইলে তারা তাদের ইচ্ছামতো আমাদের গল্প সাজাবে। ভারতীয়দের জানা উচিত, তাদের পূর্ব সীমান্তে আরও স্মার্ট এবং সাহসী মানুষ বাস করে। এই মানুষরাই কিছু মাস আগে এক ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে একটি নৃশংস স্বৈরাচারী শাসনকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে।'