জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা দিন দিন বেড়েই চলছে। কূটনৈতিক সম্পর্কের ইতি টানার পর এবার দেখা দিয়েছে সরাসরি সংঘাতে জড়ানোর শঙ্কা।
সেই শঙ্কাই এবার কিছুটা বাস্তবের পথে বলে মনে করছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। তাদের দাবি, রোববার ভারত-পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণরেখা-লাইন অব কন্ট্রোলে বন্দুক হামলা করে পাক সেনারা।
ভারতীয় সেনাদের অভিযোগ, আইন লঙ্ঘন করে কুপওয়ারা ও পুঞ্চ জেলার বিপরীতে দুদেশের নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলি ছোঁড়ে পাকসেনারা। ভারতও পাল্টা গুলি চালায়। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো দুই দেশের সেনাদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
দুদেশের এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে নৌ মহড়া চালিয়েছে ভারত। রোববার সামাজিক মাধ্যমে যার ভিডিও প্রকাশ করে দেশটির নৌবাহিনী। যেখানে দেখা যায়, অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের পরীক্ষা হয়েছে মহড়ায়। কাশ্মীরের এ ঘটনায় সজাগ দৃষ্টি রাখতেই তাদের এ মহড়া বলে দাবি নয়াদিল্লির।
আরো পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে প্রস্তুত খোদ পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জনগণও। এ নিয়ে সরাসরি মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তারা।
কাশ্মীরে বসবাসকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘মোদি সরকারকে বলতে চাই, যদি যুদ্ধ লাগে কাশ্মীরের যুবক-বৃদ্ধ ও শিশু থেকে শুরু করে সবাই তা প্রতিহত করবো।’
এরই মধ্যে কাশ্মীরে পানি সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ার দিয়েছে ক্ষমতাসীন সরকার। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে অভিযান বাড়ানোরও ইঙ্গিত তাদের। তবে পরিস্থিতিতে যাই হোক তা মোকাবিলা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ কাশ্মীরের জনগণ।
আরো পড়ুন:
তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ভারত পানি সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ার দিচ্ছে। এতে আমরা ভয় পাচ্ছি না। উল্টো কাশ্মীরের জনগণের সাহস ও স্পৃহা অনেক বেশি রয়েছে। মোদি সরকারকে বলতে চাই, এ ধরনের পরিস্থিতি এর আগেও আমরা মোকাবিলা করেছি। এবারও পিছপা হবো না।’
অন্য একজন বলেন, ‘শহীদ হয়ে মরতে চাই। মৃত্যুকে ভয় পাই না। সামনে এগিয়ে যেতে চাই। একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে ভয় পাই না। তিনি যেন আমাদের সহায়তা করেন, সেই দোয়া করি। পাকিস্তানের সাথে লড়াই করার সাহস নেই মোদির।’
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ২৬ পর্যটক। পাকিস্তানের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর ই তৈয়বার ছায়া সংগঠন-রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট জড়িত বলে দাবি নয়াদিল্লির। যদিও গোষ্ঠীটি তা অস্বীকার করেছে।