ইতিহাসের ক্রান্তিকালকে স্মরণ করে বিএনপির বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
তারা এর আগে অনেকবার এসেছেন রাজধানীতে, অংশ নিয়েছেন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। তবে, তার সঙ্গে আজ অনেক ফারাক। দীর্ঘ নিপীড়নের পথ পেরিয়ে এখন অন্য বাংলাদেশের গল্প তাদের কণ্ঠে।
একজন জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর পর আমরা আমাদের সেই দিনগুলো খুঁজে পেয়েছি। আমাদের কাছে অনেক আনন্দ লাগছে।
সমাবেশে আসা আরেকজন জানান, ঈদের থেকে বেশি আনন্দ লাগছে। সতেরো বছর পর রাজপথে নামতে পেরেছি। ছাত্রদের কারণে স্বৈরাচার পতন হয়েছে।
আরো এক অংশগ্রহণকারী জানান, মা-বোনদের গুলি করছে, আমাদের ভাইদের গুলি করছে, আমাদের বাসায় হামলা হইছে এই ছোটখাটো মিছিলের জন্য। ১৭ বছর পরে আমরা এটা পেয়ে যেই খুশি আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
তবে, সময় বদলালেও, লড়াই এখনও শেষ হয়নি বলেই মনে করছেন দলের অনেক নেতাকর্মী। জুলাই অভ্যুত্থানে ঘটা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিসহ, গণতন্ত্রের টেকসই রূপও দেখতে চান তারা।
বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রের প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার স্পষ্ট করতে চেয়েছে বিএনপি, তাদের কর্মীদের কণ্ঠেও সেই প্রত্যয়। বলছেন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার অবসান ঘটাতেই অব্যাহত থাকবে গণতন্ত্রের লড়াই।