দেশে এখন
0

নাফ নদী থেকে অপহৃত ২০ জেলেকে ফেরত আনল বিজিবি

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় নৌকাসহ ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি ২০ জেলে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি। আজ (বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর) বিকেলে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট দিয়ে তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত (মঙ্গলবার,৫ নভেম্বর) বিকালে টেকনাফে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা সংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়ার কাছাকাছি এলাকা থেকে এসব জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা মধ্যে ছিলেন, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের আলী আহমদের ছেলে শাহ আলম (২৮), শফি উল্লাহর ছেলে আসমত উল্লাহ (১৮), নুরুল আলমের ছেলে আবদুস শুক্কুর (৩২), মৃত নজু মিয়ার ছেলে আবুল হোছন (৪৫), মৃত নাজির হোছনের ছেলে আয়ুব খান (৪৮), মৃত মো. ইউসুফের ছেলে নুর হোছন (৪৫), মৃত বশির আহমদের ছেলে মো. বেলাল (২৯), মৃত নুর আমিনের ছেলে সলিম (৩৫), মৃত জাকারিয়ার ছেলে আবদুল কাদের (২৫), মৃত সোলতান আহমদের ছেলে মো. হাশিম (৩৫), মো. আলমের ছেলে মো. হোছেন (২৮), ইলিয়াছের ছেলে মহি উদ্দিন (২৬), মো. ইউনুছের ছেলে এনায়েত উল্লাহ (৩০), মৃত মো. ইউনুছের ছেলে নুর হাফেজ (৪০), মৃত মছন আলীর ছেলে মো. ইয়াছিন (৩৫), আমির সাদুর ছেলে আবদু রহিম (৪৪), মৃত বাচা মিয়ার ছেলে হাছান আলী (৫৩), আবদু শুক্কুরের ছেলে ওসমান গণি (৩০), মহেষখালী উপজেলার নাছির উদ্দিনের ছেলে ইন্নামিন (২৭) এবং উখিয়া উপজেলার হাছন শরীফের ছেলে আবদু শুক্কুর (৪৬)।

বিজিবি টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ট্রলারঘাট এলাকা থেকে ২০ জন বাংলাদেশি জেলে ১৫টি হস্তচালিত এবং ২টি ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে গমন করে। জেলেরা মাছ ধরতে ধরতে একসময় ভুলবশত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমার নাইক্ষ্যংদিয়া নামক স্থানে ঢুকে পড়ে। এসময় মিয়ানমারের আরাকান আর্মি অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে নৌকাসহ ২০ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করে।

পরবর্তীতে বিজিবির প্রচেষ্টা ও আরাকান আর্মির সাথে কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যমে ২০ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত আনা হয়। ২০ বাংলাদেশি নাগরিককে নিকটতম আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ সাপেক্ষে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

এএম