আজ (মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর) তাবলীগের যোবায়ের অনুসারীদের সমাবেশে মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে দিবে না এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান মাওলানা সাদ কান্ধলভি পন্থীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. আবু সায়েম।
মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, ‘এটা নিছক একটি রাজনৈতিক শো-ডাউন। সামনের নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে এবং মাদ্রাসার ছাত্রদের জড়ো করে তারা সরকারকে চাপে ফেলতে চাচ্ছে। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চাচ্ছে। তাবলীগের এই মোবারক মেহনতের সাথে এই ছাত্ররা এখনো সম্পৃক্ত নয়। এই রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাও নয়। যারা তারা তাবলীগের সময় লাগান (চিল্লা) দেন তাদের উপস্থিতি নেই। অথচ মাদ্রাসাগুলো থেকে ছোট ছোট বাচ্চাদেরও নিয়ে আসা হয়েছে।’
সায়েম বলেন, ‘আমরা মূল ধারার মেহনত করি। আমরা কাউকে হুমকি দিতে চাইনা। তারা যে আমাদের ইজতেমা করতে দিবে না বা কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করতে দিবে না এগুলো ফাকা বুলি। কারণ সরকারই এর সমাধান করে দিয়েছে। দুই পক্ষকে সরকার সময় ভাগ করে দিয়েছে। এসব মীমাংসিত বিষয়ে উস্কানি দেওয়া কিসের লক্ষণ সেটা সাধারণ মানুষ বুঝবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের রোখ (সময়) আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু। তখন আমরা কাকরাইলে যাবো, ইনশাআল্লাহ।’
এর আগে তাবলীগ জামায়াতের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে যদি মাওলানা সাদ ও তার অনুসারীদের এদেশে আসতে দেওয়া হয়, তাহলে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই দেশ ছেড়ে পালাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাবলীগ জামায়াতের মাওলানা মোহাম্মদ যোবায়েরের অনুসারীরা।
এদিকে গতকাল তাবলীগের দুই পক্ষকে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে সরকার৷ তবে এ আলোচনায় মাওলানা সাদ কান্ধলভি (দা.বা) এর অনুসারীরা অংশগ্রহণ করলেও মাওলানা যোবায়েরের অনুসারীরা অংশ নেয়নি।
মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে তাবলীগের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী মাওলানা মুয়াজ বিন নূর বলেন, ‘আমরা টানা সাত বছর তাবলীগের মাঠসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বঞ্চিত হচ্ছি৷ যারা আমাদের এতদিন বাধা দিয়ে আসছেন তাদেরকে (মাওলানা মোহাম্মদ যোবায়ের অনুসারী দল) মন্ত্রণালয় থেকে দাওয়াত দেওয়া হলেও তারা আসেনি। তারা বাংলাদেশে এই বৈষম্য সৃষ্টি করে রেখেছে। এই না আসার মধ্যে দিয়ে তারা সরকারকে অবজ্ঞা করেছে। তারা বুঝাতে চেয়েছে তারা যা ইচ্ছা তাই করবে।’
এদিকে এ বিষয়ে মাওলানা যোবায়ের পন্থীদের মিডিয়া সমন্বয়কে একাধিকবার কল করা হলেও পাওয়া যায়নি।