আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম বাংলাদেশ। গাজায় চলমান ইসরাইলি বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত মার্চ ফর গাজা'র খবর উঠে এসেছে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। শুধু পশ্চিমারাই নয়, বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত নজিরবিহীন এই বিক্ষোভের খবর প্রকাশ করেছে খোদ ইসরাইলি গণমাধ্যমও।
শনিবার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ও গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন লাখ লাখ মানুষ। স্লোগানে স্লোগানে এক টুকরো ফিলিস্তিনে পরিণত হয় গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। গাজাবাসীর প্রতি একাত্মতা জানাতে এদিন উদ্যান ছাড়িয়ে জনস্রোতে পরিণত হয় গোটা রাজধানী।
ফিলিস্তিনের সমর্থনে রাস্তায় নামা এই জনস্রোতের ঢেউ পৌঁছেছে পশ্চিমা বন্দরেও। মার্চ ফর ঢাকা কর্মসূচির ছবি ও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটে প্রেস, এপি, টাইমস অব ইসরাইল, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, আরব নিউজ, ফার্স্ট পোস্ট, টাইমস অব ইন্ডিয়ার মতো সংবাদমাধ্যম।
যদিও বাংলাদেশের এই সংহতি সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের প্রকৃত সংখ্যা কমিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ইসরাইলি ও পশ্চিমা কিছু গণমাধ্যম। এসব গণমাধ্যম সমাবেশে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা এক লাখ উল্লেখ করলেও আরব নিউজ বলছে, বাংলাদেশের এই বিক্ষোভে অংশ নেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। প্রতিবেদনে আরও বলা হচ্ছে এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ফিলিস্তিনের পক্ষে সবচেয়ে বড় সংহতি সমাবেশ। এছাড়া বাংলাদেশি পাসপোর্টে 'এক্সেপ্ট ইসরায়েল' ধারাটি পুনর্বহালে যে আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা, সেটিও উল্লেখ করে আরব নিউজ।
অন্যদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের ছবিতে আঘাত করে বাংলাদেশিদের প্রতিবাদ জানানোর বিষয়টি শিরোনাম করে খবর প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইসরাইল। যদিও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন মাত্র এক লাখ মানুষ।
বিক্ষোভকারীর সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিও। প্রতিবেদনের শিরোনাম, বাংলাদেশের রাজধানীতে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে জড়ো লাখ খানেক মানুষ। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে স্লোগান দিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
এছাড়াও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানায় লাখো মানুষের এই সমাবেশে সমর্থন ছিল বিএনপিসহ বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোরও।