ফানুস উৎসব ঘিরে চট্টগ্রামের নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারে উৎসবে মেতেছেন হাজারও মানুষ। যার প্রধান আকর্ষণ ফানুস উড়ানো। এর সঙ্গে ঢাক ঢোল বাদ্যের তালে প্রাণখোলা নাচে মাতোয়ারা হয় তরুণ-তরুণী।
তৃণা শব্দ থেকে বাংলায় এসেছে ফানুস, যার বাংলা দাঁড়ায় আকাশ বাতি। হাতে হাত রেখে ফানুস উড়ানোয় সামিল ছেলে বুড়ো সবাই। রাতের আকাশে একের পর এক উড়ে যায় রং, বেরংয়ের ফানুস। পুরো আকাশ শত শত ফানুসের আলোয় হয়ে উঠে ঝলমলে। একইসাথে ছুটে যায় আতশবাজি, আগুনের ফোয়ারা আর নানা রঙের বাতি।
মূলত গৌতম বুদ্ধ তার বুদ্ধত্ব লাভের প্রমাণ হিসাবে চুল কেটে আকাশে উড়ান, সে চুল আর পৃথিবীতে ফেরেনি। সেই স্মৃতি স্মরণেই ফানুস উড়িয়ে এমন আয়োজন করে বুদ্ধের অনুসারীরা।
আয়োজনে অংশ নেয়া একজন বলেন, 'এতো সুন্দর আয়োজন, এতো সুন্দর ফানুস, এতো আন্দ দেখে মনে হচ্ছে আগে আসলে ভালো হতো। এখানে শুধু বৌদ্ধরা নেই। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই আছে।'
উৎসব দেখতে চট্টগ্রামসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন নানা ধর্মের মানুষ। পরিণত হয় সম্প্রীতির মিলনমেলায়।
এর আগে দিনব্যাপি বিহারে চলে ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতা। বুদ্ধ পূজা, প্রদীপ প্রজ্বলন, অস্টশীল, পঞ্চশীল গ্রহণ করেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।
উৎসব ঘিরে নাশকতা এড়াতে বিহার ও আশপাশের সড়কে নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তা।