শাক সবজি থেকে শুরু করে প্রায় সব নিত্যপণ্যের দামই এখন আকাশছোঁয়া। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ফলে আমিষের ঘাটতি মেটাতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের বরাবরই ঝোঁক থাকে ডিমের দিকে। কিন্তু ডিমের দামও লাগামছাড়া।
ডিমের বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙাসহ দাম নাগালের মধ্যে রাখতে মঙ্গলবার ব্যবসায়দের সাথে বৈঠক করে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর। যার প্রভাবে গত কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে ডিমের দাম। ডজনপ্রতি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় যে ডিম পাওয়া যেতো তা কমে এখন মিলছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা দরে।
বিক্রেতাদের মধ্যে একজন জানান, এর আগের দিন ডিম বিক্রি করছি ২১০ টাকায়। কাল বিক্রি করছি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। আর আজকে ডিমের দাম কমছে ১৬০ টাকায় বিক্রি করছি।
যদিও এখনও সরকার নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না ডিম। তবে বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বাড়লে নাগালের মধ্যে চলে আসবে ডিমের দাম।
আরও একজন জানান, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি আছে তারপরও কিছু ঘাটতি আছে।
পাইকারি বাজারে ডিমের দাম কমায় পাড়া মহল্লায় ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এক হালি ডিম। তবে ডিমের বর্তমান দামকেও উচ্চমূল্য বলছেন ভোক্তারা। দ্রুত সরকার নির্ধারিত মূল্য নিশ্চিত করার দাবি তাদের।
এদিকে রাজধানীর ডিমের বাজার তদারকিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর। দামে গড়মিল পাওয়ায় জরিমানারও করা হয়। ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখত অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তারা।
জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, 'খুচরা ব্যবসায়ীরা ভোক্তা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা পর্যন্ত ডিম বিক্রয় করবেন। এটা আজ থেকেই কার্যকর করতে হবে এবং পাকা রশিদ নিশ্চিত করতে হবে। আর যৌক্তিক মূল্যে ডিম বিক্রয় করার জন্য মনিটরিং করা এবং আমাদের যে নির্দেশনা আছে সেই মোতাবেক বাজার অভিযান অব্যাহত রাখবো।'
রাজধানীর বেশকিছু আড়তে ডিমের দাম কমলেও কোন কোনো আড় এখনও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম।