নগরীর ব্যস্ততম সড়ক সদরঘাট স্ট্যান্ড রোড। কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী এ সড়কে চট্টগ্রাম বন্দরের ১২টি জেটি, রয়েছে নদী দুইপারের মানুষের পারাপারে বেশ কয়েকটি ঘাট। এসব জেটিতে দিন রাত চলে পণ্য খালাস, তাই ব্যস্ত থাকে পণ্যবাহী যান চলাচলে। এছাড়া আশেপাশে রয়েছে বেশ কিছু বাণিজ্যিক স্থাপনা।
গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির দশা গত কয়েকমাস ধরে এমনই। বিশাল বিশাল গর্ত এড়িয়ে চলছে যানবাহন। এঁকেবেঁকে চলতে গিয়েও যেন রক্ষা নেই। বড় গর্ত এড়ালেও ধরাশায়ী ছোট গর্তে। এতে কমছে গতি।
নগরীর সদরঘাট থেকে শুরু হওয়া এই সড়কটি শেষ হয়েছে আগ্রাবাদ বারিক বিল্ডিং মোড়ে। কয়েক কিলোমিটারের এ অংশে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, যানজটে আটকে ভোগান্তি চরমে উঠেছে যাত্রীদের।
বিক্রেতাদের মধ্যে একজন জানান, এই রাস্তার কারণে আমাদের অনেক ক্রেতা কমে গেছে।
যাত্রীদের মধ্যে একজন জানান, ক্রেতারা খুব একটা বেশি আসতেছে না। কারণ রাস্তাঘাটে মানুষ চলাচল করতে পারে না।
এটি নগরীর মুরাদপুর থেকে হাটহাজারী সড়ক। দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল এ সড়ক। অথচ এ সড়ক ধরে প্রতিনিয়ত উত্তর চট্টগ্রামের লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করছেন। খানাখন্দে ক্ষতবিক্ষত সড়কে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছেন অনেকে।
রিক্সাচালকদের মধ্যে একজন বলেন, 'রাস্তা ভাঙা থাকার কারণে অনেক সময় মালামাল গাড়ি থেকে পড়ে যায়।'
সিটি করপোরেশনের তথ্যমতে, বন্দরনগরীতে সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতে প্রায় ১শ' কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব সড়ক সংস্কারে প্রয়োজন প্রায় ১শ' কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদ হোসেন বলেন, 'বৃষ্টির কারণে আমরা কাজ করতে পারি নাই এবং রাস্তার যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এখন আমরা আবারও কাজ শুরু করছি।'
গত ৭ বছরে সড়ক সংস্কারে ৬৮৭ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সিটি করপোরেশন। তবে বছর ঘুরতেই এমন দুরাবস্থায় কাজের মান নিয়ে ক্ষুব্ধ নগরবাসী।