মাছে ভাতে বাঙ্গালির স্বাদের মাছ কিনতে ক্রেতায় ঠাঁসা বাজার। পূজা সেই বাজারে বাড়িয়েছে ব্যস্ততা। এর মাঝেই প্রায় দুই যুগপর, রাজশাহীর বাজারে শুরু হলো কেটে পিস করে ইলিশ মাছের বিক্রি।
রাজশাহী মৎসজীবী সমিতি ও ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আয়োজনে বেলা ১১ টায় উদ্বোধন করাহয় এই উদ্যোগ। দুই আড়াই হাজার টাকা দামের চড়া ইলিশ প্রয়োজন মাফিক কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। এতে কেটে রাখা পাঁচ থেকে ছয়টি মাছ শেষ হয় মুহুর্তেই।
ক্রেতাদের মধ্যে একজন জানান, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে মাছ কেটে বিক্রি হতো, কিন্তু পরে আর বিক্রি হতো না। কারণ ইলিশ তখন ছিল গরিবের খাদ্য আর এখন হচ্ছে বড়লোকের খাদ্য। আজ যে মাছ কেটে বিক্রি হচ্ছে শুনলাম এটা ভালো লাগছে। একটা গরিব মানুষ খেতে পারবে।
এ খবরে মুহুর্তেই উচ্ছাস ছড়িয়ে পড়ে মাছের বাজারের ক্রেতাদের মাঝে, দীর্ঘ দিনপর এই সুযোগ তৈরী হওয়ায় খুশি তারা, সুবিধা মত মাছ কিনতে পারার এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তারা।
ক্রেতাদের মধ্যে আরও একজন জানান, যাদের টাকা পয়সা কম তারা ১ কেজি, হাফ কেজি ইচ্ছামতো কিনে খেতে পারবে।
বর্তমান বাজারে ইলিশের দর ওজন ও আকার ভেদে ১৮'শ থেকে ২৫'শ টাকা পর্যন্ত। তায় কেটে মাছ বিক্রিকরা কিছুটা বেগপেতে হতেপারে ব্যবসায়ীদেরকে। তবে মাছের মূল ওজনের দরেই ক্রেতার চাহিদামতো ইলিশ বিক্রি করবেন বলছে মাছ বিক্রেতারা।
মৎস বিক্রেতাদের মধ্যে একজন জানান, বড় মাছ বিক্রি করছি দুই হাজার টাকা কেজি, পোয়া ৫শ' টাকা। কেউ ১ কেজি নিছে, কেউ হাফ কেজি নিছে যার যেমন সামথ্য সে অনুযায়ী তার সাধ্যমতো নিছে।
আর এক সময় স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ইলিশ সহজলভ্য থাকলেও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বছর বছর দাম বেড়েছে মাছটির। এতে স্বল্প আয়ের মানুষকে স্বাদ দিতে এ উদ্যোগ বলছেন রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতারা।
রাজশাহীর ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সেকেন্দার আলী বলেন, 'ইলিশ মাছ খেতে পারছি না। ইলিশ মাছের প্রচুর দাম। একটা ইলিশ মাছ কিনতে দুই থেকে তিন হাজার টাকা লাগছে। আপনারা যদি ইলিশ মাছটা কেটে বিক্রি করার ব্যবস্থা করেন তাহলে আমরা ইলিশ মাছ খেতে পারবো। ভালো সাড়া পাচ্ছি , নিম্ন আয়ের মানুষেরা অনেক খুশি। আর এই বিষয়টা যাতে ধারাবাহিকভাবে থাকে সেই বিষয়টা আমরা মনিটরিং করবো।'
কেটে ইলিশ বিক্রির এ ব্যবস্থা চাহিদা অনুযায়ী চলমান থাকবে। রাজশাহীর সাহেব বাজারে প্রতিদিন ইলিশ বিক্রিহয় দেড় থেকে তিন মন পর্যন্ত এ উদ্যোগ ইলিশের বিক্রি বাড়াবে বলছে মৎস্যজীবী সমিতির ব্যবসায়ীরা।