দেশে এখন
0

বছরের পর বছর জলবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে টাঙ্গাইল পৌরবাসী

টাঙ্গাইল

অবৈধভাবে খাল দখল ও অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে অল্প বৃষ্টিতে টাঙ্গাইল শহরে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। বছরের পর বছর এ অবস্থা চললেও জনপ্রতিনিধিরা শুধুই দিয়ে গেছেন আশ্বাস।

১৮৮৭ সালে টাঙ্গাইল পৌরসভা স্থাপিত হওয়ার পর ১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। তারপরও দীর্ঘ ৩৫ বছরে পৌরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে তেমন সরব দেখা যায়নি।

অল্প বৃষ্টিতেই টাঙ্গাইল শহরের সাবালিয়া, পূর্ব আদালতপাড়া, থানা পাড়া, আদি টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বাসাবাড়ি, দোকানপাটসহ নানা প্রতিষ্ঠানে জমে পানি।

এলাকাবাসীদের অভিযোগ, অবৈধভাবে খাল দখল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেকের ঘরবাড়ি বাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে, সড়কে চলাচল করতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

স্থানীয় একজন বলেন, 'আমাদের ঘরে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। আমরা খাইতে পারছি না, ঘুমাতে পারছি না। বাচাদের অন্য বাসায় দিয়ে রাখছি।'

অন্য একজন বলেন, 'রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় কোনো কাজ করা যায় না। বাচ্চাদের স্কুল, মাদ্রাসায় যেতে অনেক সমস্যা হয়। পানির নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থা হয়েছে।'

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির কর্মকর্তারা বলছেন, শহরের ২৭টি খালের মধ্যে প্রায় সবগুলোই অবৈধভাবে দখল হয়েছে। এছাড়াও শহরের পুকুরগুলো প্রভাব খাটিয়ে ভরাট করায় এই দশা সৃষ্টি হয়েছে। আর টাঙ্গাইল পৌরসভা জানালো জনদুর্ভোগ লাঘবে শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী গৌতম চন্দ্র চন্দ বলেন, 'নদীগুলো তো অচল হয়ে গেছে। নদীতে গিয়ে যে পানি পড়বে, সেই ব্যবস্থাও নেই। শহরের যে বড় পুকুরগুলো ছিল প্রায় সবগুলো পুকুরই ভরাট করা হয়েছে।'

টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রশাসক মো. শিহাব রায়হান বলেন, 'এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে যত দ্রুত সম্ভব এগুলো নিরসনের ব্যবস্থা নেবো।'

এ ব্যাপারে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর