চিঠিতে বলা হয়েছে 'রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং এ সকল এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে আগামী শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।'
এর আগে প্রথম দায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয় দফায় ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ১ অক্টোবর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিনদিন সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার রাতে 'নিরুৎসাহিত' করণের সময়সীমা শেষ হয়েছে। এর মধ্যেই আজ রাতে আবারও নতুন করে একই সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
মূলত গত ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা ও ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে 'সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুই জেলায় চারজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়। এছাড়া দোকান, বসতবাড়ি, গাড়ি, অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরসহ তাণ্ডবে পাহাড়জুড়েই ব্যাপক ভীতি ও অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। এখনও সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় প্রশাসন থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
এর মধ্যেই ১ অক্টোবর খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সোহেল রানাকে একই প্রতিষ্ঠানের পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পিটিয়ে হত্যা করে পাহাড়ি ছাত্ররা। এই হত্যাকাণ্ডের জেরে পাহাড়ি বাঙালি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এদিকে চার দফা দাবিতে ৪ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তিন পার্বত্য জেলার সকল বাজার বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে 'সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন'। ফলে এই কর্মসূচি কতটা অহিংস থাকবে পারে তা নিয়ে নতুন করে পাহাড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা তৈরি হয়েছে।