সফেদ চাদর আর মশারি আবৃত হাসপাতালের বেডে শুয়ে জ্বরে কাতরাচ্ছেন ময়মনসিংহ শহরের ২০ বছরের যুবক প্রত্যয়। একমাত্র ছেলে কখন সুস্থ হবে বাড়ি যাবেন সেই অপেক্ষার প্রহর গুণছেন মা দিপ্তী রায়।
ঢাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী প্রত্যয় রায় বেশ কিছুদিন আগেই জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে পরীক্ষায় ধরা পড়ে ডেঙ্গু। বমি, পেটব্যথা, ডায়রিয়া, রক্তক্ষরণসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। দ্রুত কমে যাচ্ছিল রক্তের প্লাটিলেট। উপায় অন্তর খুঁজে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঢাকা থেকে নিয়ে এসে ভর্তি করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে।
প্রত্যয় রায়ের মা দিপ্তী রায় জানান, ১৩ তারিখ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত একটানা ১০৬ থেকে ১০৭ ডিগ্রি জ্বর। তারপরে এক ব্যাগ ব্লাড দেওয়া হয়। ব্লাড দেওয়ার পর ৩০ তারিখ থেকে জ্বর একটু কমে। আর প্লাটিলেট নামে ৩৫হাজারে। এখন ২ লাখ ১০ হাজার আছে।
ঢাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী প্রত্যয় রায় ডেঙ্গু আক্রান্ত । ছবি: এখন টিভি
শুধু প্রত্যয় নয় ডেঙ্গু ওয়ার্ডের অধিকাংশ রোগীই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে আসা।
রোগীদের মধ্যে একজন জানান, এখনো শরীরে একটু দুর্বলতা আছে। আর হালকা হালকা জ্বর আছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মেডিসিন বিভাগ সহযোগী অধ্যাপক ডা. তৃদিপ কান্তি বর্মন বলেন, 'দেশের মানুষের মধ্যে একটা ভীতি কাজ করে ডেঙ্গু হলেই ভাবে মারাত্মক কিছু এইজন্য সবাই হাসপাতালে চলে আসে।হাসপাতালে ভর্তি না হয়েও চিকিৎসা নিয়া সম্ভব। সহজভাবে আমরা যেই কাজটা করতে বলি ফ্লুয়েড বেশি খেতে বলি। নাপা বা প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খেতে বলি। যদি ব্লাড প্রেসার কমে যায় সেসব ক্ষেত্রে আসলে আমাদের জন্য ভালো হয়।'
ফরিদপুরে হঠাৎই বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রভাব। গত এক মাসে জেলায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন সাড়ে তিনশ'র বেশি রোগী। এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ এবং মাইকিং করা হচ্ছে।
মানিকগঞ্জে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালে রোগী বাড়লেও স্থানীয়দের অভিযোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।