বগুড়ায় ইফতারের ঐতিহ্যবাহী অনুষঙ্গ টকদইয়ের ঘোল। দুধের গাঁজন প্রক্রিয়ায় তৈরি টকদই কিনতে দুপুরের পর থেকেই রোজাদারদের ভিড় বাড়ে দইয়ের দোকানে।
ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, 'টকদই খেলা সারাদিনের তৃষ্ণা মিটে যায়। এবং এই টকদই পরিবারের ছোট-বড় সবাই খেতে পারে।'
অন্য একজন বলেন, 'টকদই ভালো সারাবছরই আমরা খাই। কিন্তু রমজানে একটু বেশি পরিমাণে খাই।'
বগুড়ার জনপ্রিয় মিষ্টি দইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেশ-বিদেশের মানুষ। রমজানের শুরু থেকেই জিআই স্বীকৃতি পাওয়া এই মিষ্টি দইয়ের বিক্রি কমেছে প্রায় ৬০ ভাগ। বেড়েছে টকদইয়ের চাহিদা, টকদই বিক্রির ভরা মৌসুম পার করছেন দই বিক্রেতারা।
বিক্রেতাদের একজন বলেন, 'রোজাদারটা ইফতারে টকদই খাও পছন্দ করে ঘোল হিসেবে। যার কারণে এটার চাহিদা বেড়ে যায়। আমাদের এই একটা দোকানেই প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ পিস শুধু টকদই বিক্রি করি।'
পরিপাকতন্ত্রের নানা উপকারিতা, হজম প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা বাড়ানোসহ নানা উপকার থাকায় ইফতারের তালিকায় টকদই রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. মো. ফারুক হোসেন বলেন, 'দইয়ের মধ্যে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় যেটা আসলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে। উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো আমরা টকদইয়ের মধ্যে পাই। এটা প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।'
বগুড়ায় রমজানের আগে প্রতিটি টক দইয়ের হাড়ি বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। তবে বর্তমানে বিশেষ ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।