দেশে এখন
0

৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিতে তলিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক, ভোগান্তি চরমে

মাত্র ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিতেই বুধবার (২ অক্টোবর) রাত থেকে রাজধানীবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। বৃষ্টি কমলেও এখনো বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে আছে পানিতে। পাশাপাশি রাস্তার খানাখন্দ ভোগান্তি যেমন বাড়িয়েছে তেমনই বেড়েছে যানজট। আবহাওয়া অফিস বলছে, আরও দু’দিন থাকবে বৃষ্টি।

বুধবার রাত থেকে অনবরত বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় নাকাল মতিঝিলসহ রাজধানীর মানুষ। স্কুল ও অফিস যাতায়াতে পোহাচ্ছেন ভোগান্তি। সড়কের পাশাপাশি বাদ পড়েনি বাণিজ্যিক ভবন ও প্রতিষ্ঠানগুলোও। অনেক প্রতিষ্ঠানেরই নিচতলায় জমে আছে পানি। পাম্পের মাধ্যমে পানি অপসারণের চেষ্টা করছেন নিজ উদ্যোগে।

রাজধানীর সড়কগুলোতে ওয়াসা, তিতাস, ডেসকো বা সিটি করপোরেশনের নানাবিধ কাজের ফলে খোঁড়াখুঁড়ি সংস্কার না করায় এই জলাবদ্ধতায় কয়েকগুণ ভোগান্তি বেড়েছে। বৃষ্টিতে তলিয়ে এই খানাখন্দই এখন সড়কের অন্যতম আতঙ্ক। আর দীর্ঘক্ষণ পানিতে তলিয়ে থাকা সড়কের পরিণতি হচ্ছে আরও ভয়াবহ।

মতিঝিলের ফুটপাতের এক চা বিক্রেতা অনেকটা ভাসমান দোকান নিয়েই বসেছেন। পেটের দায়ে এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বেচা বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছেন। তার মতো হাজার হাজার মানুষ পানি মাড়িয়েই যাচ্ছেন গন্তব্যে।

পাশাপাশি পানিতে সড়ক তলিয়ে থাকার কারণে যানজটও বেড়েছে চরম আকারে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বিকল গাড়ির দেখা মিলছে। যার ফলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে সড়কে।

এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে বৃষ্টি থাকবে আরও দুই দিন। রাজধানীতে বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ৪৪ মিলিমিটার। আর সারাদেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে ১৪৪ মিলিমিটার।

আজ (বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর) আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যানুযায়ী, সারাদেশে গতকাল থেকে বৃষ্টি বেড়েছে। বিশেষ করে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় বৃষ্টি বেড়েছে।

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপ তৈরি হবে। বাংলাদেশ ও বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ তৈরির আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আগামী দুইদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি বেশি থাকবে। ৯ তারিখ পর্যন্ত থেমে থেমে বৃ্ষ্টি হবে। সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১২০ মিলিমিটার, কক্সবাজারে ১১৪ মিলিমিটার এবং ঢাকায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এএইচ