শরতের নীল আকাশ আর কাশফুলের দোলা জানান দিচ্ছে শারদীয় দেবী দুর্গার আগমনি। কাশফুলের প্রকৃতি, শঙ্খ কিংবা ঘণ্টাধ্বনি, সকলেই স্বাগত জানাচ্ছে দেবী দুর্গাকে। দেবীর আগমনে মণ্ডপে মণ্ডপে সাজসজ্জা। শিল্পীর নিপুণ হাতের শৈলীতে পূর্ণরূপ পাচ্ছেন দেবী দুর্গা।
দুর্গোৎসবকে ঘিরে জেলার বিপণিবিতানগুলো প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। দোকানে দোকানে চলছে শাড়ি, কাপড় ও প্রসাধনী বিক্রির তোড়জোড়। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কমেছে ক্রেতা। তাই ভাটা পড়েছে উৎসবকেন্দ্রিক বাণিজ্যে।
এক বিক্রেতা জানান, প্রতিবার বিক্রি ভালো থাকে। এবার আশানুরুপ বিক্রি হচ্ছে না। আরেক ব্যবসায়ী জানান, অন্য সময় বেচাকেনা অনেকটা শুরু হয়ে যায়। আমরা আশা করছি শিগগিরই হয়তো বেচাকেনা হবে।
পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও বন্যাসহ নানা কারণে এ বছর ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে পূজা উদ্যাপন পরিষদ, কমে এসেছে পূজামণ্ডপের সংখ্যা।
নাটোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রসাদ তালুকদার বলেন, ‘এটা কম হওয়ার পেছনে ব্যক্তিগত কারণও রয়েছে। অনেকে পারিবারিকভাবে পূজার আয়োজন করতেন। তাদের অনেকেই করছেন না। ঐক্য করে দেয়ার কারণেও কমেছে। আগে এক জায়গায় দুটি পূজা হতো এখন একটি হবে।’
নাটোরে এবার ৩৪৮টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।