ঢাকঢোল পিটিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে রেলের যাত্রা শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বরে। ঢাকা থেকে এ পর্যটকবাহী ট্রেন ছুটে যায় সমুদ্র সৈকতে। সারাদেশের বিনোদনপ্রেমীদের কাছে অল্প সময়ে এ ট্রেন জনপ্রিয় বাহন হয়ে ওঠে। কিন্তু এ রেলপথ পরে বৃষ্টির পানিতে বেঁকে গেলে শুরু হয় নানা প্রশ্ন। প্রশ্ন ওঠে ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে করা এ রেলপথে মাত্র একটি ট্রেন কেন?
পরে চট্টগ্রাম কক্সবাজার রুটে আরেকটি বিশেষ ট্রেন চালু হয়, যেটিও জনপ্রিয়তা পায়, মাত্র তিন মাসে আয় করে প্রায় দুই কোটি টাকা। কিন্তু লাভজনক এ ট্রেন পথে আর কোন ট্রেন চালু হয়নি।
কিন্তু দু:দুঃখজনক হলেও সত্য কয়েক দশকে এসব রুট এখন মৃতপ্রায়। বন্ধ হয়ে গেছে লোকাল অনেক ট্রেন, উপজেলা ভিত্তিক বহু স্টেশন।
যাত্রীসেবা ও ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে সোমবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল আয়োজন করে অংশগ্রহণ সভার। যেখানে উঠে আসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের প্রত্যাশা ও অভিযোগ।
সভায় বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ আমলে চট্টগ্রাম আশেপাশে জেলা, উপজেলাকে ঘিরে রেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু দিনে দিনে সে নেটওয়ার্ক শূন্যে নেমে এসেছে। কক্সবাজার ও রুটের বিশেষ ট্রেন লাভজনক হওয়ার পরও স্থায়ী না করা এবং এসি বগি না থাকাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। দাবি তুলেন স্ট্যান্ডিং টিকেট, ট্রেনে লাগেজ ভ্যান, ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর।
এছাড়া বিনা টিকেটে ভ্রমণ, প্ল্যাটফর্ম-বগি অপরিষ্কার, ওয়াগন স্বল্পতাসহ নানা সমস্যা ও অভিযোগ উঠে আসে অংশীজন সভায়।
কর্মকর্তারা বলেন, আগের তুলনায় রেলওয়ের সেবার মান বাড়াতে অনলাইনে টিকিট বিক্রি, কালোবাজারি বন্ধে পদক্ষেপ ও আধুনিক বগি সংযোজন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, 'এ বিষয়ে আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি যেন ট্রেনটি সচল করা যায়। এবং যাত্রী সাধারণের অবস্থা বিবেচনা করে যেন এই ট্রেনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ সংযোজন করা যায় সে বিয়ে আলোচনা করেছি।'
সভায় পাশের উপজেলা দোহাজারী ও সীতাকুণ্ড রুটে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউটার ট্রেন পুনরায় চালুর দাবি জানান যাত্রীরা। বলেন, এ রুটে প্রতিদিন চাকুরিসহ নানা কাজে শহরে আসে হাজার হাজার মানুষ।