ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর জুলাই-আগস্টে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হয়েছে একের পর এক মামলা। তবে মামলা হলেও ১৯৭৩ সালে প্রণীত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন এসব মামলা নিষ্পত্তির জন্য কতটা সময়োপযোগী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
এমন বাস্তবতায় আইন বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বিদ্যমান আইনের সংশোধনের জন্য এই মতবিনিময়ের উদ্যোগ নেয় আইন মন্ত্রণালয়। এসময় রাজনৈতিক দলকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধসহ ৮ দফা খসড়া প্রস্তাব তুলে ধরা হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
প্রস্তাবিত খসড়াকে সাধুবাদ জানিয়ে এতে কিছু বিষয় যুক্ত করার প্রস্তাব করেন বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধসহ বেশকিছু বিষয়ে দ্বিমত জানান অনেকে।
নির্বাচন কমিশন সংস্কার বিষয়ক কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, 'যারা আমাদের সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে তাদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ হওয়া দরকার।'
এসময় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, প্রতিশোধ নয়, সুচিবারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করা হবে। ন্যায়বিচারে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করাই অন্তবর্তী সরকারের লক্ষ্য।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘যত বেদনা, ক্ষোভ বুকের ভেতর থাক। আমরা এই চ্যালেন্জটা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন আছি আমাদের এই বিচারটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।’
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন করা হয়।