চার আসামি হলেন- ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান। অভিযোগ দাখিলের পরই এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে আরও তিন শতাধিক মানুষকে হত্যার অভিযোগে পৃথক তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
এসময় তিনি জানান, সেনাবাহিনীর নিয়ম ভেঙ্গে আওয়ামী সরকারের সাথে যোগসাজস করে বিভিন্ন অপকর্ম করতেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান। আওয়ামী আমলে বিএনপির অনেক ব্যক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে গুম ও নির্যাতনের মুল মাস্টার মাইন্ড জিয়াউল আহসান।
তিনি বলেন, ‘এরইমধ্যে ৩০০ থেকে ৫০০ মানুষকে গুম ও হত্যা অভিযোগ এসেছে তার বিরুদ্ধে। তবে, গুম ও শতাধিক মানুষকে হত্যার মামলায় সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ২১ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি ধার্য করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১। তার বিরুদ্ধে গাজীপুরে ৩ জনকে হত্যা, বরগুনার পাথরঘাটার চর দুয়ানিতে ৫০ জন হত্যা, বনদস্যু দমনের নামে সুন্দরবনে বন্দুক যুদ্ধের নাটক সাজিয়ে বেশ কয়েকজনকে হত্যার ৩ টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।’
এছাড়া জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম,ইলিয়াস আলী, সাজেদুল হক সুমন, সালাহউদ্দিন আহমেদসহ তিন শতাধিক ব্যক্তিকে গুম ও হত্যার সংশ্লিষ্টতার তথ্য মিলেছে বলেও ট্রাইব্যুনালে জানান চিফ প্রসিকিউটর। এসব অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। এ মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ ডিসেম্বর।





