গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প বা জি-কে প্রকল্প। দেশের অন্যতম ও বৃহৎ এই সেচ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলা কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলার ১৩টি উপজেলা।
তিন বছর আগে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এই সেচ প্রকল্পের পাড় ভেঙে নষ্ট হয়েছিলো কয়েক গ্রামের ফসল। এর পরও নেয়া হয়নি টেকসই ব্যবস্থা। যার প্রেক্ষিতে গেল বুধবার পানির চাপে আবারো ভেঙেছে জিকে প্রকল্পের বাঁধ। এতে প্লাবিত হয় চার গ্রামের শত শত একর ফসলি জমি। চোখের সামনে কষ্টের ফসল তলিয়ে যেতে দেখেন নিরুপায় কৃষকরা।
কৃষকদের একজন বলেন, 'অনেক ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পাট নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।'
স্থানীয়দের একজন বলেন, 'তিন থেকে চার গ্রামের হাজার হাজার বিঘার পাট নষ্ট হয়ে গিয়েছে।'
ফসলের পাশাপাশি ভেসে গেছে বেশ কয়েকটি পুকুরের মাছ। পানি ঢুকেছে বাড়ি-ঘরেও। কর্তৃপক্ষের দায় সারা কাজের ফলে একই স্থানে বারবার ভাঙছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ না থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ১০ দিনের মধ্যে বাঁধ সংস্কার করা হবে।
চুয়াডাঙ্গার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, 'আমরা ব্রিজ মেরামতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। খুবই দ্রুত সেচ কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।'
এমন অবস্থায় জিকে প্রকল্পের কুষ্টিয়া অংশে স্লুইচ গেট বন্ধ করে দেয়ায় বিভিন্ন এলাকায় পানি কমে গেছে। যাতে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। তাই দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করে সুইচ গেট খোলা রাখার দাবি কৃষকদের।