দেশে এখন
0

এখনো তিন ফুট পানির নিচে রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতু

কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে গেছে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৩ আগস্ট  বিকেল থেকে ডুবতে থাকে সেতুটি। ফলে সেতুটিতে পর্যটকদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ (শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত সেতুটির পাটাতন তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে আছে।সেতু ডুবে থাকায় হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকেরা। আয় বন্ধ থাকায় এখন দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে গড়ে ৭০ হাজার টাকার বেশি।

রাঙামাটিতে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘের ঝুলন্ত সেতুকে ঘিরেই। ১৯৬০ সালে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ নির্মাণের পর ১৯৮৫ সালে দুই পাহাড়ের মাঝখানে তৈরি করা হয় এই আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতুটি।

তাই পর্যটকেরা প্রথমেই ছুটে যান পর্যটন কমপ্লেক্স এলাকায়। বছরে প্রায় ৫ লাখের বেশি দেশি- বিদেশি পর্যটক সেতুটি দেখতে আসেন। এতে জনপ্রতি ২০ টাকা প্রবেশ ফি, গাড়ি পার্কিং ও ট্যুরিস্ট বোট ইজারা থেকে বছরে আয় আসে অন্তত আড়াই কোটি টাকা। 

রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানিয়েছেন, আয় বন্ধ থাকায় এখন দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে গড়ে ৭০ হাজার টাকার বেশি।

হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মিনস সি লেভেল । কিন্তু বৃষ্টি হলেই পর্যটন সেতুসহ শহর এলাকায় হ্রদতীরবর্তি বসতঘর, সড়ক ডুবে যায়। মূলত হ্রদের তলদেশ ভরাট হয়ে পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে দিয়ে পানি বের করে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এরপরও উজান থেকে পানি নামতে থাকায় হ্রদের পানির উচ্চতা কমছে ধীর গতিতে। 

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুর একটা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানি রয়েছে ১০৮ দশমিক ৩৫ ফুট। স্বাভাবিক সময়ে এখন থাকার কথা ১০০ দশমিক ১৫ ফুট। অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে এখন ৮ দশমিক ২০ ফুট পানি বেশি রয়েছ। হ্রদের পানি কমাতে বাঁধের স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট আড়াই ফুট করে খুলে রাখা হয়েছে।

ইএ