সড়কের চার লেন উন্নয়নের কাজ চলমান। দফায় দফায় বেড়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে চলছে সড়কের কাজ। এতে সড়কের অবস্থা নাজেহাল। ৪ বছরে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫০ শতাংশ। আবারও বেড়েছে প্রকল্প মেয়াদ। অপেক্ষা ২০২৬ পর্যন্ত।
সড়কে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকবল তেমন নাই। নামে মাত্র শ্রমিক আর যন্ত্রপাতি দিয়ে চলছে ২৭ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ। পুরো সড়ক জুড়েই ভাঙাচুরা আর খানাখন্দ। এতে ভোগান্তিতে চলাচলকারীরা। বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি বাড়ে কয়েকগুণ। চলাচলে যাত্রীদের পড়তে হয় যানজটে ঘটে দুর্ঘটনাও।
যাত্রীদের মধ্যে একজন জানান, পদ্মা সেতু থেকে আমাদের জেলা সবচেয়ে কাছে। কিন্তু দুর্ভোগটা আমরাই সবচেয়ে বেশি পায়।
৩ ঘন্টার জায়গায় ৬ ঘন্টা লাগে। অসুস্থ রোগিদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলেও জানান আরকে যাত্রী।
ধীরগতির নির্মাণকাজ ভোগাচ্ছে পরিবহণ মালিকদেরও। এমন সড়ক দিয়ে চলাচলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যানবাহন। প্রতিনিয়ত পাল্টাতে হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন খাত। মালামাল পরিবহনেও তৈরি হয়েছে ঝুঁকি।
রাস্তায় মাল নিয়ে আসলে ব্যবসায়ীদের ও ক্ষতি, গাড়ির ও ক্ষতি জানান এক বাস মালিক।
ব্যবসায়ীরা জানান, পদ্মা সেতু তৈরী হওয়ার পর একটু আলোর মুখ দেখেছি কিন্তু রাস্তা সংস্কারের কাজ না হওয়ায় ক্ষতির দিকে যাচ্ছে ব্যবসা।
এতো সব অভিযোগের পরও ঠিকঠাক মতোই চলছে সড়কের কাজ বলছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।
সহকারী ম্যানেজার মীর হাববিুল আলম কনস্ট্রাকশন মীর মোশাররফ হোসেন বলনে, রাস্তা ঠিক করতে যেসব উপকরণ লাগবে সব পর্যাপ্ত আছে। আর কাজ ও প্রায় শেষ মোটামুটি গোছায় আসছে।
সড়ক নির্মাণকাজে অধিগ্রহণ আর জমি জটিলতাকেই দুষলেন নির্বাহী প্রকৌশলী। সব জটিলতা কাটিয়ে মেয়াদের আগেই প্রকল্প শেষ হবে বলে আশ্বাস দিলেন তিনি।
শরীয়তপুর সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলনে, মোট কাজের অগ্রগতি প্রায় ৫৫% এর বেশী শেষ । যদিও ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময় নেয়া। তবে আমরা আশা করছি ২৫শে ডিসেম্বর এর মধ্যে কাজ শেষ হবে।
১ হাজার ৬শ ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি প্যাকেজে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে পদ্মা সেতু-শরীয়তপুর সংযোগ সড়ক প্রকল্প।