আজ (সোমবার, ১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আমার বাংলাদেশ পার্টির বর্ষবরণ শোভাযাত্রার আগে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর কিংবা জুন এমন ধরনের কোনো কথা না বলে সুনির্দিষ্ট একটা ডেড লাইন দিতে হবে। অনেকে মনে করেছে, এই সরকার নির্বাচন না দিয়ে দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে। কিন্তু, সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে এই ধরনের কোনো বক্তব্য আমরা পাইনি।’
মঞ্জু বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ বাঙালি প্রাণের উৎসব। ফ্যাসিবাদী অপশক্তি বাঙালি জাতিসত্তা বিরোধী নানা অনুষঙ্গ যুক্ত করে যা এতদিন গণমানুষের ঐক্য বিনষ্ট করে নানা বিভক্তি তৈরি করে রেখেছিলো। দীর্ঘ সময় বাংলা নববর্ষ আটকে ছিল ধর্মীয় বিভক্তি, বাঙালি বাংলাদেশি বিভক্তি, ধর্মনিরপেক্ষতার বিভক্তি নিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখাতে হবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা এই মাটির সন্তান। এই মাটির সকল সংস্কৃতিই আমাদের ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। কাজেই এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশ-জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে।’
এবি যুব পার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকনের সঞ্চালনায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে বর্ষবরণ শোভাযাত্রাটি উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. সুকোমল বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও শিল্পী আরজুমান্দ আরা বকুল।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম।
উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, আলতাফ হোসাইন, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল ও ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স।