গেট খোলার পর প্রতি সেকেন্ডে ৭৫৬ ঘনমিটারের বেশি পানি নামছে ভাটির দিকে। এ পানি ভারতের ত্রিপুরা থেকে আন্তঃসীমান্ত কাকড়ি ও ডাকাতিয়া নদী হয়ে নোয়াখালীর মুছাপুর ক্লোজার গেট দিয়ে সন্দীপ চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়ছে।
গেল কয়েকদিন পূর্ণিমা ও সাগরে সিগনাল থাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ফুট উচ্চতায় অতিরিক্ত জোয়ারের পানি থাকায় ক্লোজার গেট দিয়ে সাগরে পানি নামতে পারেনি। আজ থেকে পূর্ণিমা ও জোয়ার কম থাকায় দ্রুত পানি নেমে যাচ্ছে। তবে, ভাটির সময় এ পানি নামার পরিমাণ থাকে কয়েকগুণ বেশি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি আমির ফয়সাল বলেন, 'গেল ১৫ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ৪০ মিলিমিটার পানি কমেছে। আর গেল তিন ঘণ্টায় পানি কমেছে ১০ মিলিমিটার। অর্থাৎ পানি দ্রুতই কমে যাচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আর বৃষ্টি না হলে এভাবে ক্লোজার দিয়ে পানি নামতে থাকলে নোয়াখালীর আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্যার পানির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে। এবং মানুষ অনেকটাই স্বস্তি পাবে।'