দেশের ভোগ্য পণ্যের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে এক দফা বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও ডাল জাতীয় পণ্যের দাম। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ৯৭ টাকায়। রসুন ১৭৫ টাকা আর আদা বিক্রি হচ্ছে ২২৫ টাকা কেজি দরে। তবে, বেচা বিক্রি নেমে এসেছে অর্ধেকের নিচে। স্বাভাবিকভাবে বেচা বিক্রি কমলে দাম কমার কথা তবে এখানকার চিত্র ঠিক উল্টো। সম্প্রতি ফেইসবুকে নিত্যপণ্যের দর বলে একটি তালিকা ছড়িয়ে পড়ায় ভুগতে হচ্ছে ব্যবসায়িদের।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'আমদানি কম হচ্ছে, যারা আনে তাদের সুবিধা হচ্ছে না। কালকে ছাত্ররা এসেছিল যে, আমরা পেঁয়াজের দাম ৯৫ টাকা নিলাম, কিন্তু ছাত্ররা আমসাদের বলে ৭০ টাকায় বিক্রি করার জন্য। আবার আলু ৫১ টাকা নেওয়া, ছাত্ররা বলে ৪০ টাকায় বিক্রি করতে। এর একটা সমাধান হওয়া উচিত।'
দাম বৃদ্ধির দৌঁড়ে রয়েছে ডাল জাতীয় পণ্যও। সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের ডালের দাম কেজিতে চার থেকে সাত টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
তবে নতুন সরকারের কাছে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক খাতে সংস্কার, এলসি জটিলতা, ডলার সংকট দূর করার মত বিষয়গুলো।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'আমাদের এলসি করা পণ্যের মধ্যে কিছু কিছু পণ্যের দাম একটু বাড়তির দিকে। আমরা যেন সহজেই ডলারটা এলসি দিতে পারি। যদি নতুন করে এলসি দিতে পারি তাহলে পণ্য এভেইলএভেল হবে। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, ছোটখাট যারা এলসি করে তাদের সুযোগ দেয়া এবং ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করা।'
এছাড়া ডাল, জিরা, এলাচ, পেঁয়াজসহ খাতুনগঞ্জের বেশিরভাগ মসলা ও ভোগ্যপণ্য আমদানি হয় ভারত ও মিয়ানমার থেকে। তাই প্রতিবেশী দেশের সাথে বাণিজ্য ও সম্পর্ক স্বাভাবিক দেখতে চান আমদানিকারকরা।