মধ্য দুপুরে তাতা রোদে সফেদ দেয়ালে রং তুলির আঁচরে আঁকা হয় নতুন সূর্য ফুল। নতুন বাংলায় তাই তারা গাইতে চায় সাম্যের গান। পরাধীনতা আর অন্যায়ের শেকল ভেঙে উড়ে গেছে বিহঙ্গ মুক্তির বার্তা নিয়ে । কখনও সবুজ মানচিত্রে ছোপ ছোপ লাল রক্ত, এই রক্ত আত্মদানের, শহীদের রক্ত। এই আবেগ নতুন বাংলাদেশকে গড়ার।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘নতুন সূর্যোদয়ের থিম হিসেবে এই সূর্যমূখী আঁকা হয়েছে। আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি সেটা যেন প্রতিটি দেয়ালে ফুটে ওঠে সেজন্য আমাদের এ আঁকাআঁকি।’
বেলা ১১ টায় ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হলে শহরবাসী দেখেছে এক অন্যরকম দিন। একঝাঁক কিশোর-কিশোরী রং তুলির আঁচড়ে অন্যায়, অবিচার দুর্নীতি, বৈষম্যহীনতার বিরুদ্ধে গ্রাফিতি আঁকছে। চেতনায় ধারণ করছে মুক্তিযুদ্ধ, মানচিত্র আর লাল সবুজের পতাকাকেও।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘টাউনহল প্রাঙ্গণে যে গ্রাফিতি হচ্ছে তা এই বাংলাদেশকে সুন্দর করে সাজানোর জন্য আমাদের কার্যক্রম। সবাই একসাথে হলে ময়মনসিংহের মতো পুরো বাংলাদেশেই একটা নতুন জাগরণ হবে।’
এদিকে ঝমমল করছে সবুজ আইডি কার্ডের ফিতা ঝুলানো আন্দোলনে শহীদ মুগ্ধের হাসিমাখা মুখটা। যার শিরোনাম পানি লাগবে? কারো, পানি? চলতি পথে যে কেউ যেন মুগ্ধর মতো শহীদ শিক্ষার্থীসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে। শিল্পীর তুলি যেন তাই জানান দিচ্ছে।
শহরের টাউনহল মোড় ছাড়াও, জেলা স্কুল মোড়, নতুনবাজার, গাঙ্গিনারপাড় এলাকাসহ পুরো শহরের দেয়াল জুড়েই শোভা পাচ্ছে শিল্পীদের আকা গ্রাফিতি। প্রতিবাদের ভাষা যেমনই হোক নতুন বাংলাদেশ হবে মানবতার,শান্তি- সাম্য আর অর্থনৈতিক মুক্তির এমনটাই প্রত্যাশা তরুণ প্রজন্মের।