দেশে এখন
0

বর্ষা এলেই শরীয়তপুরে বাড়ে নৌকার চাহিদা

পদ্মা-মেঘনাসহ ছোট বড় অসংখ্য নদী আর খাল-বিল থাকায় বর্ষা এলেই শরীয়তপুরে বাড়ে নৌকার চাহিদা। যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে কারিগরদের ব্যস্ততা। এবার জেলার ৬ উপজেলার অন্তত ১৫টি হাটে নৌকা বিক্রি হচ্ছে। তবে, কাঠসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌকার দামও বেড়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা বাবুলাল মন্ডল। ছোট থেকেই যুক্ত বাপদাদার নৌকা তৈরির পেশায়। বর্ষায় চাহিদা বাড়ায় ৫ জন কারিগর নিয়ে রাত-দিন ব্যস্ততা তার। ৫ হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকা মূল্যের নৌকা তৈরি করেন বাবুলাল।

শরীয়তপুরের তারাবুনিয়ার কাঠমিস্ত্রি বাবুলাল মন্ডল বলেন, ‘আমি আমার বাবার কাছ থেকে নৌকা তৈরির কাজ শিখেছি। এইটা তৈরি করেই আমার সংসার ও জীবন চলে। আগে নৌকার চাহিদা অনেক ছিল কিন্তু এখন তেমন ব্যবসা নেই।’

বাবুলালের মতো শরীয়তপুরের গ্রামে গ্রামে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। পরিশ্রম বেশি হলেও আয় বাড়ায় খুশি তারা।

নৌকা তৈরির কারিগরদের একজন বলেন, ‘কিছু অর্ডার দিয়ে যায় আর কিছু রেডিমেড নৌকা বিক্রি করে আমরা ভালোই আছি।’ আরেকজন বলেন, ‘৫০ বছর ধরে এই কাজ করি। নৌকা তৈরি করে আমরা ভালোই আছি।’

সাপ্তাহিক হাটে ওঠে ছোট-বড় শত শত নৌকা। তবে, মেহগনি, কড়াই ও জারুল কাঠ দিয়ে তৈরি নৌকার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আকার ও মানভেদে ৬ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয় এসব নৌকা। কিন্তু দাম নিয়ে রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিন্ন মত।

ক্রেতাদের একজন বলেন, ‘হাটে তো অনেক নৌকা এসেছে কিন্তু এরা তো দাম বেশি চায়। পানির কারণে তো মাঠে যেতে পারছি না চাষাবাদও করতে পারছি না।’

বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি এখন কি করবো কমে তো বিক্রি করতে পারি না।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলার ১৫টি হাটে মৌসুমে ১০ থেকে ১২ হাজার নৌকা কেনাবেচা হবে। যার আনুমানিক মূল দেড় কোটি টাকা।

ইএ