নড়িয়া উপজেলার নতুন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আধুনিক নকশায় নির্মিত মূল ভবন। আছে স্ট্যাফ কোয়ার্টার, ডক্টরস ডরমিটরি, নার্স ডরমিটরি, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বাস ভবন। রয়েছে রোগ নির্ণয়ের অত্যাধুনিক যন্ত্র। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিতে আছে উচ্চক্ষমতার জেনারেটর। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র আর সার্বিক নিরাপত্তায় হাসপাতাল চত্বর জুড়ে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
এত আয়োজন থাকার পরও দীর্ঘ ৬ মাসে উদ্বোধন হয়নি হাসপাতালটি। ফলে দুর্ভোগে ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার লাখো সেবা প্রত্যাশী। হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। আর স্থাপনা বুঝিয়ে দিতে না পেরে জটিলতায় ভুগছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়দের একজন বলেন, ‘চালু না হলে সেবা নিবে কি করে। চালু হলে জনগণ চিকিৎসা নিতে পারে।’
এদিকে পদ্মার তীরবর্তী ভাঙন কবলিত এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে পুরাতন হাসপাতালে স্বল্প পরিসরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ভবনের অভাবে অস্ত্রোপচার, এক্সরে ও প্যাথোলজি বিভাগ বন্ধ রয়েছে। ফলে, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা কর্তৃপক্ষের।
রোগীদের একজন বলেন, ‘মূল ভবন না থাকায় আমাদের চিকিৎসা নিতে কষ্ট হচ্ছে।’
এদিকে, আধুনিক ভবন ও চিকিৎসাসামগ্রী থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত থাকছেন নড়িয়াবাসী। আর দিনের পর দিন অকেজো পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি ।
নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, ‘সরকারি বাস ভবনে আমরা স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
৬ একর জমির ওপর ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ।