বিবৃতির মাধ্যমে কোটা সংস্কার করে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক সরকারের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনকে স্বাগত জানিয়েছে সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের মূল আন্দোলন কোটা সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। এতে আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে আমরা মনে করি। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আংশিক বিজয় হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
সাধারণ শিক্ষার্থী মঞ্চ বলছে, গত ৩ জুলাই থেকে কোটা সংস্কার ও আমাদের অধিকার আদায়ের দাবিতে দেশজুড়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশ নেয়। কিন্তু আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জীবনের অপূরণীয় ক্ষতি করা হয়েছে।
সংগঠনটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীরা জ্বালাও-পোড়াও, সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কাজের সঙ্গে জড়িত নয়।
এতে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় অনেক শিক্ষার্থী নিহত ও আহতসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যেসব শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন তাদের সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সেই সঙ্গে যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করি।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যারা শক্তি প্রয়োগ করেছে, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলছে, আন্দোলনের সময়ে আহতদের চিকিৎসা ও নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের জন্য সরকারের প্রতি দাবিও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ২৩ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধান এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
একই সঙ্গে শিগগিরই সারাদেশে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা অহিংস আন্দোলন করেছে তারা যেন কোনো হয়রানির শিকার না হয় সেই দাবিও করা হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সরকারের পরবর্তী ইতিবাচক পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী মঞ্চ।