মৃত জবেদা খাতুনের সফিজল ও রফিজল নামে দুই ছেলে এবং জাহানারা ও জরিনা নামে দুই মেয়ে রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, জবেদা খাতুনের ছেলে রফিজলের সাথে একই বাড়িতে তার চাচাতো ভাই রফিকের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল।
গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় বৃদ্ধা মারা গেলে তাকে রফিকের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে গেলে তারা বাধা দেয়। এলাকাবাসি ও মৃতের স্বজনরা কবরের জন্য জায়গায় চেয়ে রফিক ও তার পরিবারের সদস্যদের একাধিকবার বুঝিয়েও রাজি করাতে পারেনি। পরে কোনো জায়গা না পেয়ে বুধবার জবেদা খাতুনের ছেলেরা তাদের ঘরের বারান্দা খুলে মেঝেতেই দাফন করেন।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আজ (বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কবর দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে রফিজলের বাড়িতে ভিড় করেন শতাধিক মানুষ।
এদিকে ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর আজ বিকেলে কবরটিকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন রফিকসহ তার পরিবার। জবেদা খাতুনের সন্তানদের চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও জানা যায়।
রফিজল বলেন, 'মা মারা যাওয়ার পর দাফনের জন্য একটু জমি খুঁজেছি, কেউ দেয়নি। আর সাড়ে ৩ হাত জমির জন্য মাকে কবর দিতে পারিনি। এখন আবার কবর তুলতে কয়। আমরা গরিব মানুষ কই যামু, মার কবর তুলমু না।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতখান থানার ওসি সত্য রঞ্জন খাসকেল বলেন, 'জবেদা খাতুন নামে এক বৃদ্ধার কবর ঘরের মেঝেতে দেয়া হয়েছে শুনে আজ বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অনেকেই কবরটিকে সরিয়ে নেয়ার জন্য বলছেন। যদি তার ছেলে ও তার পরিবার মনে করে কবরটি সরিয়ে নেয়া উচিত, তাহলে নেবেন। আর যদি না চান এখানেই থাকবে।'