উপকূলের বাসিন্দাদের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। ৭০ এর জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর দ্বীপজেলা ভোলায় বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয় উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী।
তবে সাগরতীরের এই ম্যানগ্রোভ বন নির্বিচারে ধ্বংস করছে ভূমি ও বনদস্যুরা। মনপুরার আলম নগর, জংলার খাল, উত্তর সাকুচিয়া, লতার খাল, দক্ষিণ সাকুচিয়া, পচা কোড়ালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গাছ কেটে বন ধ্বংস করা হচ্ছে। নেই আগের মতো পাখিদের কলকাকলি। দিন দিন বনের সৌন্দর্য হারিয়ে হরিণের পাশাপাশি কমে গেছে পর্যটকও। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় গড়ে তোলা হচ্ছে ঘর-বাড়ি, মাছের খামার আর হাটবাজার।
বন বিভাগ বলছে, ভোলার মনপুরার তিনটি বিটে ৩০ হাজার একর জমিতে উপর কেওড়া, বাইন, সুন্দরী, কাকরা, গেওয়া, করমজা, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। রক্ষাকবজ হিসেবে কাজ করা উপকূলের বন উজাড় করায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বনরক্ষায় বনদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিতই নেয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ভোলা মো. তোতা মিয়া বলেন, ‘এ গাছগুলো প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করছে। একে পরিকল্পিতভাবে কর্তন করা হয় তাহলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাতে থেকে বাঁচার জন্য আমাদের কিছু থাকবে না।’
ভোলা উপকূলীয় বন বিভাগ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক বলেন,‘ যারা গাছ কাটছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাথে সাথে মামলা দিচ্ছি । এছাড়া কোথাও বন নিধন হয়েছে কিন্তু মামলা দেয়া হয়নি এমনটি হয়নি। এবং যেগুলো বনের ক্ষতি হয়েছে সেখানে আমরা বন পুনরস্থাপন করছি।’
জেলায় বন বিভাগ নিয়ন্ত্রিত বনভূমি রয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬৪৬.১৮ একর। এর মধ্যে সংরক্ষিত বনায়ন রয়েছে ৭৩ হাজার ৪২১.৭৮ একর। আর সাগরতীরের মনপুরা রেঞ্জের আওতায় ৩০ হাজার ১২০ একর বন রয়েছে। আর বনদস্যুদের কবল থেকে এসব বন রক্ষায় বন বিভাগের ১৪ বিট ও ১২টি কেন্দ্র রয়েছে।