সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও ধর্মপাশাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চলের ৫ লাখেরও বেশি মানুষ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া নির্ঘুম রাত পার করছেন।
নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা বলছেন, যেভাবে নদীর পানি বাড়ছে যদি ঈদের আগে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাহলে তাদের ঈদ আনন্দে ভাটা পড়বে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের সকল নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, 'যখন চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয় তখন সুনামগঞ্জের নদ নদীর পানি বাড়ে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জ ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। তবে চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে পাহাড়ি ঢল নেমে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
২০২২ সালের ১৬ জুন সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে জেলার ২৫ লাখ মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েন।