বরিশালের চরমোনাই পশুর হাট। যেখানে নদী ও সড়ক পথ দুইভাবেই আসে কোরবানির পশু। মূলত বরিশাল সদর, হিজলা, মুলাদী ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা থেকে ট্রলারে করে আনা হয় পশু। সকাল থেকেই জমজমাট হয়ে উঠে এই পশুর হাট।
হাটে বিভিন্ন আকারের গরু থাকলেও ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর সংখ্যা সবথেকে বেশি। ক্রেতারা বলছেন, গেল বছরের তুলনায় বেশিরভাগ গরুতে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বাড়তি বলছেন তারা।
ক্রেতাদের একজন বলেন, 'এখানে গরু কিনতে আসছি। যা দেখলাম এখনো এখানে গরুর দাম নির্ধারণ হয়নি।'
আরেকজন বলেন, 'মানুষের একটা ক্রয় ক্ষমতা আছে। আমাদের মতো নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তদের এত দাম দিয়ে কেনা সম্ভব না।'
বিক্রেতারা বলছেন, গোখাদ্যের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে পশুর হাটে। শুরুর দিকে বেচা-কেনা কিছুটা কম। এছাড়া দামে যুক্ত হয়েছে বাড়তি পরিবহন খরচ।
বিক্রেতাদের একজন বলেন, 'গরুর খাবারের দাম বেশি যার ফলে গরুর দাম বেশি।'
বরিশালের চরমোনাইতে এখন পশুর হাট বেশ জমজমাট। দূর-দুরান্ত থেকে এখানে মানুষ আসেন পশু কেনাকাটা করার জন্য। পশুর দাম যাই হোক হাসিল দিতে হয় মাত্র ১০০ টাকা। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটাই ভালো। নেই কোন চাঁদাবাজিও। আর এ কারনে জেলার অন্য যে কোন জায়গার চেয়ে এখানে পশু কেনাকাটা করতে আসা মানুষের ভিড় লেগেই থাকে।
চরমোনাইয়ের প্রতি হাটে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকার পশু বিক্রি হয় বলছে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তা।
চরমোনাই হাট পরিচালনা কমিটির বেলাল হোসাইন বলেন, 'প্রত্যেক বৃহস্পতিবার ছাগল-গরু কেনা বেচা হয় এবং কোরবানি উপলক্ষে অস্থায়ীভাবে এখানে হাট বসবে।'
হাট ছাড়াও বরিশালে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু পশুর খামার। যেখানে নির্ধারিত দামে বিক্রি হয় পশু। যেখানে খাজনা ও দালাল মুক্ত পরিবেশের পাশাপাশি কিস্তিতে কোরবানির পশু কিনতে পারেন ক্রেতারা।
সাদ সাইদ এগ্রো'র পরিচালক এ এস এম একরামুল হুদা বলেন, 'আমাদের এখান থেকে গরুর কিনলে একজন ভাগ্যমান ক্রেতা একজন কসাই লটারির মাধ্যমে উপহার পাবেন।'
জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, বরিশাল বিভাগে এবছর পশুর চাহিদা রয়েছে ৪ লাখ পশুর। যেখানে প্রস্তুত করা হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ পশু।