দেশে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে পহেলা নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস জাটকা ধরা, পরিবহন, সংরক্ষণ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গেল ৭ থেকে ১৪ এপ্রিল পালন করা হয়েছে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’। কিন্তু সরকারের এসব উদ্যোগ কতটা কাজে আসছে?
বাস্তবতা হচ্ছে, বরিশালের প্রায় সব বাজারেই মিলছে তিন থেকে সাড়ে তিন ইঞ্চি সাইজের জাটকা। নদী থেকে এসব জাটকা মূলত আনা হয় নগরীর তালতলী, শায়েস্তাবাদ, সাহেবের হাট, লাহার হাট, চর কাউয়া ও পোর্টরোড বাজারে। সেখান থেকে যা ছড়িয়ে পড়ছে নগরীর বিভিন্ন বাজারে। এমনকি পাঠানো হচ্ছে অন্যান্য জেলাতেও। বিক্রেতারা যা "চাপিলা" নামে বিক্রি করছেন। অনেক বিক্রেতা আবার বিভিন্ন ছোট মাছের সাথে মিশিয়ে চালিয়ে দিচ্ছেন এসব জাটকা।
জাতীয় অর্থনীতি এবং বৈষয়িক কূটনীতিতে ইলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মৎস্য অধিদপ্তর ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, কারেন্ট জাল, মশারি জালসহ অবৈধ জালের উৎপাদন বন্ধে চেষ্টা চলছে। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছে তারা।
সম্প্রতি বরিশালে অনুষ্ঠিত হয় "জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ"। এ সময় জাটকা নিধন বন্ধে বরিশাল অঞ্চলের কয়েক হাজার জেলে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি।