নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, ওয়াসার মত কোনো প্রতিষ্ঠান বরিশালে না থাকলেও নানাভাবে পানির বিল আদায় করছে সিটি কর্পোরেশন। এছাড়া ট্যাক্সের সাথেও দিতে হচ্ছে পানির বিল। এরপরও কমছে না পানির সংকট।
বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জন সুরক্ষা ফোরামের আহ্বায়ক শুভংকর শুভ বলেন, ‘বরিশালে দুটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজ চলছিল, সেটি কিন্তু এখন পর্যন্ত হস্তান্তরিত হয়নি। আমরা শুনেছি, সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পথে। সুপেয় পানি যেন নিশ্চিত করা যায়, সেটি যেন সহজলভ্য হয় এবং এখানে অর্থের বিনিময়ে যেন কোনো কারসাজি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
পানির চাহিদা মেটাতে না পারলেও জনগণের কাছ থেকে পানির বিল আদায় করাকে বিধিসম্মত হিসেবে দেখছেন বিসিসির কর্মকর্তা। বলছেন, হোল্ডিং নাম্বার থাকলেই দিতে হবে পানির বিল। একই সঙ্গে টিউবওয়েল স্থাপনেরও ফি রয়েছে। তবে পানির সংকট দূর করতে নির্মিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট চালু করার কথা বলছেন তারা।
বরিশাল নগরীর পানির লাইন ব্যবহার করছে প্রায় ৩৪ হাজার গ্রাহক, যা থেকে সিটি কর্পোরেশন বছরে আদায় করছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।
এছাড়া পানির চাহিদা মেটাতে নগরবাসী এরইমধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বসিয়েছে প্রায় ২৮ হাজার নলকূপ। কিন্তু পানির এ চাহিদা মেটাতে বিসিসির দরকার আরও সাড়ে ৩ কোটি লিটার পানি।