দেশে এখন
0

চট্টগ্রাম বন্দরে এলার্ট ৪, শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের মহাবিপদ সংকেতে চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব সতর্কতা এলার্ট ৪ জারি করা হয়েছে। এরইমধ্যে জেটিতে থাকা সব জাহাজ গভীর সাগরে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নতুন করে পণ্যবাহী কোন জাহাজও চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে প্রবেশ করবে না বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এদিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুপুর ১২টা-রাত ৮টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামাসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করেছে কতৃপক্ষ।

জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা ও বহির্নোঙ্গরে সব ধরণের পন্য খালাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সব লাইটার জাহাজকে নেয়া হয়েছে কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর উজানে।

বন্দরের কন্টেইনার ও সব যন্ত্রপাতি নিরাপদ করতে কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। বন্দরে সব মিলিয়ে ১০৬ টি জাহাজ ও আমদানি রপ্তানিবাহী ৩৬ হাজার একক কন্টেইনার  আছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে ৯টি জেলা। এরমধ্যে রয়েছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা ও পটুয়াখালী। আর  ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকা ৭ জেলা হলো চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর ও চাঁদপুর।

আজ দুপুর ১২টার পর থেকে উপকূলে অগ্রভাগের প্রভাব পড়া শুরু হবে। রাত ১২টায় পুরো উপকূলজুড়ে প্রভাব থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।

ঘূর্ণিঝড়ে যে কোন জরুরি উদ্ধার কাজে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

ইএ